পোস্টগুলি

গাম্বিয়া

  পশ্চিম আফ্রিকার মুসলিমপ্রধান একটি দেশ গাম্বিয়া।রাষ্ট্রীয় নাম গাম্বিয়া ইসলামি প্রজাতন্ত্র।এটি আফ্রিকা মহাদেশের মূল ভূখন্ডের ক্ষুদ্রতম দেশ। গাম্বিয়া নদী থেকেই মূলত দেশটির নামকরণ। নদীটি দেশের প্রায় মধ্যভাগ দিয়ে প্রবাহিত হয়ে আটলান্টিক মহাসাগরে পতিত হয়েছে। আর এই নদীকে কেন্দ্র করেই মূলত গাম্বিয়া গড়ে উঠেছে। এটি উত্তর , পূর্ব ও দক্ষিণ দিকে সেনেগাল দ্বারা পরিবেষ্টিত। রাজধানীঃ বন্দর শহর বাঞ্জুল দেশটির রাজধানী। সেরেকুন্দা দেশের বৃহত্তম শহর। আয়তনঃ আয়তন মাত্র ১০ হাজার ৩৮০ বর্গ কি . মি . ( ১৬৪তম ) । বাংলাদেশের মোট আয়তনের চৌদ্দ ভাগের এক ভাগ। জনসংখ্যাঃ ২০ লাখ ৯২ হাজার ৭৩১ জন মানুষ। ( ওয়ার্ল্ড ফ্যাক্টবুক ) জাতিগোষ্ঠীঃ জাতিগোষ্ঠীর মানডিনকা ৪২ শতাংশ , ফুলা ১৮ শতাংশ , উলোফ ১৬ শতাংশ , জোলা ১০ শতাংশ , সেরাহুলি ৯ শতাংশ , অন্যান্য আফ্রিকান ৪ শতাংশ , নন - আফ্রিকান ১ শতাংশ। ধর্মঃগাম্বিয়ার ৯৫ ভাগ মানুষ মুসলিম , বাকি ৫ ভাগ রোমান ক্যাথলিক ও প্রটেস্ট্যান্ট সম্প্রদায়ের খ্রিস্টানরা। মুদ্রা ডালাসি। জাতিসংঘে যোগদান ২১ অক্টোবর ১৯৬৫ । ইতিহাস আফ্রিকার অন্যান্য রাষ্ট্রের মতো গাম্বিয়াও দাস প্রথ

সেনেগাল

ছবি
  মো.আবু রায়হানঃপশ্চিম আফ্রিকার দেশ সেনেগাল। সেনেগালের পশ্চিমে আটলান্তিক মহাসাগর ; উত্তরে মৌরিতানিয়া , পূর্বে মালি এবং দক্ষিণে গিনি ও গিনি-বিসাও। দক্ষিণ সীমানা সেনেগালের সঙ্গে সংযুক্ত। এ ছাড়া গাম্বিয়ার সঙ্গে জলসীমান্ত রয়েছে সেনেগালের। সেনেগাল-এর নামকরণ সেনেগাল নদী থেকে। সেনেগালের পূর্ব ও উত্তরের সীমান্তে এর অবস্থান। এর আদি উচ্চারণ ছিল সুনু গাল যার অর্থ আমাদের নৌকা। জানা যায় , ১৫ কিংবা ১৬ শতকের দিকে পর্তুগিজরা সেনেগালে আসে। স্বাভাবিক ভাবেই তখন দেশটির নাম তাঁদের জানা ছিল না। তখন স্থানীয় মৎস্যজীবীদের কাছে নাম জানতে চাইলে তাঁরা বলে ‘সুনু গাল’। কিন্তু পর্তুগিজরা ওই শব্দের কোনও অর্থ বুঝতে না পেরে নাম দিয়ে ফেলে সেনেগাল। তবে সাধারণ মানুষের মতে সেনেগাল নদীর ওপর ভিত্তি করে দেশটির নাম রাখা হয়েছে সেনেগাল। রাজধানীঃ ডাকার। আয়তনঃ এক লক্ষ ৯৬ হাজার ৭২২ বর্গ কিলোমিটার। আয়তনের দিক থেকে বিশ্বের মধ্যে ৮৬তম দেশ। জনসংখ্যাঃ ২০১৮ সালের তথ্যানুযায়ী , সেনেগালের জনসংখ্যা এক কোটি সাতান্ন লাখের কিছু বেশি। ধর্মঃ শতকরা ৯৪ ভাগ মুসলমান , ৫ ভাগ খ্রিষ্টান এবং অবশিষ্ট এক ভাগ অন্যান্য ধর্মের। মুসলিমরা শুধু নামেই ম

সিয়েরালিওন

  সিয়েরালিওন পশ্চিম আফ্রিকার একটি দেশ। সিয়েরা লিওনের সাংবিধানিক নাম সিয়েরা লিওন প্রজাতন্ত্র। সিয়েরালিওনের উত্তর সীমান্তে গিনি , দক্ষিণ-পূর্ব সীমান্তে লাইবেরিয়া এবং দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলের দিকে আটলান্টিক মহাসাগর অবস্থিত। সিয়েরা লিওনের বৃক্ষহীন তৃণভূমি অঞ্চল থেকে রেইনফরেস্ট পর্যন্ত একটি বিচিত্র পরিবেশের গ্রীষ্মমন্ডলীয় জলবায়ু বিদ্যমান। সিয়েরা লিওন জাতিসংঘ , আফ্রিকান ইউনিয়ন , ওআইসি , কমনওয়েলথ সহ অনেক আন্তর্জাতিক সংস্থার সদস্য রাষ্ট্র। রাজধানী ফ্রিটাউন সর্ব বৃহত্তম শহর অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক কেন্দ্র। আয়তন : ৭১ হাজার ৭৪০ বর্গকিলোমিটার। জনসংখ্যা : ৭০ লাখ ৭৫ হাজার ৬৪১। জাতিগোষ্ঠী : টেমনে ৩৫ শতাংশ , মেন্ডে ৩১ শতাংশ , ফুলানি ১২ শতাংশ , লিম্বা ৮ শতাংশ। সিয়েরা লিওনে প্রায় ১৬টি জাতিগোষ্ঠী বসবাস করে , যাদের প্রত্যেকের রয়েছে আলাদা ভাষা ও রীতিনীতি। দুটি বৃহত্তম ও সবচেয়ে প্রভাবশালী জাতিগোষ্ঠী হল টেমনে ও মেন্ডে ।টেমনে জাতিগোষ্ঠীকে দেশের উত্তরাঞ্চলে প্রাধান্য করতে দেখা যায় , যখন মেন্ডেরা দক্ষিণ পূর্বাঞ্চলে তাদের কর্তৃত্ব বজায় রেখেছে। ধর্মঃ সিয়েরা লিওন একটি নামমাত্র মুসলিম দেশ। য