পোস্টগুলি

রাসুল (সা) এর যুদ্ধ ও অভিযান

ছবি
  ঐতিহাসিকদের মতে, মুহাম্মদ(সা.) তাঁর জীবদ্দশায় ২৭টি বড় ধরনের যুদ্ধ(গাজওয়া), ৬০টি ছোটখাটো দ্বন্দ্ব-সংঘর্ষ (সারিইয়া) সরাসরি পরিচালনা করেছেন। (ইসলামী বিশ্বকোষ, পূর্বোক্ত) মুফতি শাফি (রহ.) লিখেছেন, বড় যুদ্ধ গাজওয়া ২৩টি এবং ছোটখাটো যুদ্ধ (সারিয়া) ৪৩টি। (মুফতি শাফি : সিরাতে খাতামুল আম্বিয়া, পৃষ্ঠা ৮৫)।কারো মতে,মাদানী জীবনে ৮ বছরে সংঘটিত ৮৬টি গাযওয়া ও সারিইয়ার মধ্যে ২৯টি গাযওয়া ও ৫৭টি সারিইয়াতে উভয় পক্ষে নিহত ও শহীদগণের সঠিক তালিকা নির্ণয় করা মুশকিল। মানছূরপুরী যে তালিকা দিয়েছেন, তাতে দেখা যায় যে, মুসলিম পক্ষে শহীদ হয়েছেন ২৫৯ জন এবং কাফের পক্ষে নিহত হয়েছেন ৭৫৯ জন। উভয়পক্ষে সর্বমোট নিহতের সংখ্যা ১০১৮ জন। কিন্তু মানছূরপুরী ও মুবারকপুরী উভয়ের দেওয়া যুদ্ধের বর্ণনা সমূহ হিসাব করে দেখা গেছে যে, মুসলিম পক্ষে ৩৩৯ জন এবং কাফির পক্ষে ১০৯১ জন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে মানছূরপুরী সারিইয়া ইবনু আবিল আওজা-তে মুসলিম পক্ষে ৪৯ জন শহীদ বলেছেন, যেটা ৩৩৯ জনের হিসাবে ধরা হয়েছে। কিন্তু মুবারকপুরী উক্ত বিষয়ে কিছু বলেননি। অনুরূপভাবে গাযওয়া বনু কুরায়যাতে ইহুদীপক্ষে নিহতের সংখ্যা মানছূরপুরী ৪০০ বলেছেন। কিন্তু মুবারকপুরী

সাইয়েদ জামাল উদ্দিন আফগানি

ছবি
#মো. আবু রায়হান সাইয়েদ জামাল উদ্দিন আফগানি (১৮৩৮/১৮৩৯ – ৯ মার্চ ১৮৯৭) ছিলেন উনিশ শতকের একজন ইসলামি আদর্শবাদী, ইসলামি আধুনিকতাবাদের অন্যতম জনক ও প্যান ইসলামিক ঐক্যের একজন প্রবক্তা। ইরানের পশ্চিমাঞ্চলীয় হামেদান শহরের অদূরে আসাদাবাদে তাঁর জন্ম হয়েছিল।যদিও তিনি নিজেকে আফগানিস্থানের অধিবাসি বলে দাবি করতেন। তিনি নিজেকে সুন্নি বলে জাহির করতেন কিন্তু তিনি একজন শিয়া । আফগানি ইরানে আসাদাবাদি বলে পরিচিত। দর্শন, ধর্ম, মহাকাশ-বিদ্যা ও ইতিহাসে অসাধারণ পাণ্ডিত্য ছিল তাঁর। আরবী, ফার্সি, তুর্কি, ইংরেজি, ফরাসি ও রাশিয়ার কয়েকটি ভাষায়ও পারদর্শী ছিলেন সাইয়্যেদ জামাল।ধর্মতত্ত্বের চেয়ে পাশ্চাত্য চাপের প্রতিক্রিয়ায় মুসলিমদের রাজনৈতিক ঐক্যের দিকেই তার ঝোক বেশি ছিল বলে উল্লেখ করা হয়। প্যান ইসলামিজম বা সর্ব-ইসলামবাদ হল মুসলিমদের ঐক্যকেন্দ্রিক একটি রাজনৈতিক আন্দোলন।আরবিতে বলা হয়— আল-ওহদাতুল ইসলামিয়া ।সারা পৃথিবীর মুসলিমরা একটি একক রাষ্ট্র বা খেলাফতের অধীনে থাকবে, এটাই হলো মূলকথা । আধুনিক কালে এটাকে একটু ভিন্নমাত্রায় সংজ্ঞায়িত করে বলা হয়— রাষ্ট্র অনেকগুলো হোক, কিন্তু তাদের সবার সম্মিলিত একটি স্বেচ্ছাস

জালিমের কারাগারে আলেম ওলামা

ছবি
#মো. আবু রায়হান পৃথিবীতে বহু ক্ষণজন্মা ব্যক্তি ইসলামের সেবা করে ইসলামের ইতিহাসে অমর হয়ে আছেন। ইমামে আজম হযরত আবু হানিফা(রহ.) ছিলেন তাদেরই একজন। তিনি ইসলামের জ্ঞান ভান্ডারে যে অবদান রেখে গেছেন, কিয়ামত পর্যন্ত মুসলিম উম্মাহ তার কাছে চিরঋণী হয়ে থাকবে।ইমাম আজমের পূর্ব পুরুষরা আদিতে কাবুলের অধিবাসী হলেও ব্যবসায়িক সূত্রে তারা কুফাতে নিবাস গড়েন। তার পিতা সাবিত ছিলেন একজন তাবেয়ি। প্রসিদ্ধ মতানুসারে তিনি ৬৯৯ সালের ৫ সেপ্টেম্বর মোতাবেক ৮০ হিজরিতে জন্মগ্রহণ করেন। তার মূল নাম ছিল নোমান। কিন্তু পরবর্তীতে তিনি আবু হানিফা উপনামে সুখ্যাতি লাভ করেন। ইসলামী ফিকহের সর্বাধিক প্রসিদ্ধ ও পরিচিত চারটি সুন্নি মাযহাবের একটি “হানাফি মাযহাব”-এর প্রধান ব্যক্তিত্ব ছিলেন তিনি। ৭৬৩ আব্বাসীয় খলিফা আল-মনসুর আবু হানিফাকে রাজ্যের প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগের প্রস্তাব দেন কিন্তু স্বাধীনভাবে থাকার জন্য তিনি প্রস্তাব প্রত্যাখান করেন। তার পরীবর্তে তার ছাত্র আবু ইউসুফকে প্রধান বিচারপতির দায়িত্ব   দেওয়া হয়। প্রস্তাব প্রত্যাখানের ব্যাপারে আবু ইউসুফ আল মনসুরকে ব্যাখা দেন তিনি নিজেকে এই পদের জন্য উপযুক্ত মনে করছেন না। আল-