পোস্টগুলি

রাসুল (সা.) কে হত্যার যত চেষ্টা

ছবি
#মো. আবু রায়হান #এক রাতে আবু জেহেল কুরাইশ গোত্রের কয়েকজন মুশরিক বন্ধুদের নিয়ে কাবা চত্বরে মিটিং করে সিদ্ধান্ত নিলো সে নিজেই একটি ভারী পাথর দিয়ে মাথায় আঘাত করে মুহাম্মাদ সা:-এর মাথা গুঁড়িয়ে দেবে। পরদিন আবু জেহেল কাবা শরিফের এক পাশে বিশাল ভারী একখানা পাথর নিয়ে মহানবী (সা)-এর আগমন অপেক্ষায় বসে রইল। অন্য দিনের মতো মহানবী সা: কাবা শরিফে নামাজ আদায় করার জন্য এলেন। তিনি নামাজে দাঁড়ালেন। মহানবী সা: যখন সেজদায় গেলেন তখন আবু জেহেল প্রকাণ্ড ভারী পাথরটিসহ অগ্রসর হলো। কিন্তু পরক্ষণেই ভীতসন্ত্রস্ত ও বিহ্বল অবস্থায় বিবর্ণ চেহারায় পিছু হটে ফিরে এলো। যে পাথরটি তার হাতে ছিল সেটি সে ছুড়ে ফেলে দিলো। এ সময় কুরাইশ বন্ধুদের কয়েকজন তার দিকে এগিয়ে গেল। তারা তাকে জিজ্ঞেস করল, কী হে আবুল হাকাম, তোমার কী হলো? সে বলল, আমি মুহাম্মাদের সা: সেজদারত অবস্থায় মাথায় আঘাত করার জন্য কাছাকাছি গিয়ে পাথর মারতে যেই উদ্যত হয়েছি, তখনই বিরাট আকৃতির ভয়ঙ্কর একটি উট আমার সামনে এসে আমাকে আক্রমণ করতে উদ্যত হয়। আল্লাহর কসম! এমন ভয়ঙ্কর দাঁতাল এবং হিংস্র উট আমি জীবনে আর কখনো দেখিনি। # দারুন নাদওয়ার সিদ্ধান্ত- ১২ই সেপ্টেম্বর ৬২২ খৃষ্টাব্দ

শ্যাম্পুর আবিস্কারক একজন বাঙ্গালি শেখ দীন মুহাম্মদ

ছবি
#মো.আবু রায়হান ইংরেজরা‘শ্যাম্পু’র পুরো কৃতিত্ব নিলেও এ প্রসাধনীর উদ্ভাবক শেখ দীন মুহাম্মদ।শেখ দীন মুহাম্মদের কাছেই ব্রিটেনের মানুষ প্রথমে জানতে পারে, চুলের পরিচর্যা কীভাবে করতে হয়। পয়সা খরচ করে সে সময় দীন মোহাম্মদের কাছে অভিজাত ইংরেজরা আসত শ্যাম্পু করতে।আজ থেকে আড়াইশ বছর আগে ভারতে শেখ দীন মুহাম্মদ জন্ম গ্রহন করেন।শেখ দীন মুহাম্মদের জন্ম পলাশি যুদ্ধের দুবছর পর ১৭৫৯ সালে ভারতের পাটনায়। সে সময় পাটনা বাংলার অধীনে ছিল। নবাবী আমল প্রায় শেষ, মীর জাফর, মীর কাসিম এরা নামে মাত্র নবাব বনে আছেন। মুগল সম্রাটও প্রায় ক্ষমতাহীন। বড় হতে হতে দীন মুহাম্মদ শিখে ফেললেন মুগল আমলের সব রসায়ন বিদ্যা, সাবান, সুগন্ধি, তেল সবকিছু বানাবার কৌশল। সাথে উপরি হিসাবে কিছু চিকিৎসাবিদ্যাও। মাত্র ১০ বছর বয়েসে তিনি সেনাবাহিনীর সাথে সম্পৃক্ত হয়ে পড়েন এবং ক্যাপ্টেন গডফ্রে ইভান বেকারের অধীনে কাজের সুযোগ পান। ১৭৮২ সাল পর্যন্ত তিনি ক্যাপ্টেন বেকারের বাহিনীতে থাকেন। ঐ বছর ক্যাপ্টেন বেকার সেনাবাহিনী থেকে ইস্তফা দিলে,কেউ কেউ বলে করতে বাধ্য হন, আর ফিরে যান ব্রিটেনে। শেখ দীন মুহাম্মদও পদত্যাগ করেন এবং 'তার ঘনিষ্ঠ বন্ধু'

রাসুল (সা) এর যুদ্ধ ও অভিযান

ছবি
  ঐতিহাসিকদের মতে, মুহাম্মদ(সা.) তাঁর জীবদ্দশায় ২৭টি বড় ধরনের যুদ্ধ(গাজওয়া), ৬০টি ছোটখাটো দ্বন্দ্ব-সংঘর্ষ (সারিইয়া) সরাসরি পরিচালনা করেছেন। (ইসলামী বিশ্বকোষ, পূর্বোক্ত) মুফতি শাফি (রহ.) লিখেছেন, বড় যুদ্ধ গাজওয়া ২৩টি এবং ছোটখাটো যুদ্ধ (সারিয়া) ৪৩টি। (মুফতি শাফি : সিরাতে খাতামুল আম্বিয়া, পৃষ্ঠা ৮৫)।কারো মতে,মাদানী জীবনে ৮ বছরে সংঘটিত ৮৬টি গাযওয়া ও সারিইয়ার মধ্যে ২৯টি গাযওয়া ও ৫৭টি সারিইয়াতে উভয় পক্ষে নিহত ও শহীদগণের সঠিক তালিকা নির্ণয় করা মুশকিল। মানছূরপুরী যে তালিকা দিয়েছেন, তাতে দেখা যায় যে, মুসলিম পক্ষে শহীদ হয়েছেন ২৫৯ জন এবং কাফের পক্ষে নিহত হয়েছেন ৭৫৯ জন। উভয়পক্ষে সর্বমোট নিহতের সংখ্যা ১০১৮ জন। কিন্তু মানছূরপুরী ও মুবারকপুরী উভয়ের দেওয়া যুদ্ধের বর্ণনা সমূহ হিসাব করে দেখা গেছে যে, মুসলিম পক্ষে ৩৩৯ জন এবং কাফির পক্ষে ১০৯১ জন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে মানছূরপুরী সারিইয়া ইবনু আবিল আওজা-তে মুসলিম পক্ষে ৪৯ জন শহীদ বলেছেন, যেটা ৩৩৯ জনের হিসাবে ধরা হয়েছে। কিন্তু মুবারকপুরী উক্ত বিষয়ে কিছু বলেননি। অনুরূপভাবে গাযওয়া বনু কুরায়যাতে ইহুদীপক্ষে নিহতের সংখ্যা মানছূরপুরী ৪০০ বলেছেন। কিন্তু মুবারকপুরী