পোস্টগুলি

ওহুদ যুদ্ধ ও মুসলমানদের অগ্নিপরীক্ষা

ছবি
#মো. আবু রায়হান ওহুদ যুদ্ধ ৩ হিজরির ৭ শাওয়াল (২৩ মার্চ৬২৫ খ্রিষ্টাব্দ) ওহুদ পর্বতের সংলগ্ন স্থানে সংঘটিত হয়।মদিনার মুসলিম ও মক্কার কুরাইশদের মধ্যে এই যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছে। এই দুই পক্ষের নেতৃত্বে ছিলেন যথাক্রমে হযরত মুহাম্মদ (সা) ও আবু সুফিয়ান। ইসলামের ইতিহাসে সংঘটিত প্রধান যুদ্ধসমূহের মধ্যে এটি দ্বিতীয়। এর পূর্বে ৬২৪ সালে এই দুইপক্ষের মধ্যে বদরের যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছিল। যুদ্ধের পটভূমি- বদরের যুদ্ধে মক্কাবাসীগণের পরাজয় ও অপমানের যে গ্লানি এবং তাদের সম্ভ্রান্ত ও নেতৃস্থানীয় লোকদের হত্যার যে দুঃখভার বহন করতে হয়েছিল তারই কারণে তারা মুসলিমগণের বিরুদ্ধে ক্রোধ ও প্রতিহিংসার অনলে দগ্ধীভূত হচ্ছিল। এমনকি তারা তাদের নিহতদের জন্যে শোক প্রকাশ করতেও নিষেধ করে দিয়েছিল এবং বন্দীদের মুক্তিপণ আদায়ের ব্যাপারে তাড়াহুড়া করতেও নিষেধ করেছিল, যাতে মুসলিমরা তাদের দুঃখ যাতনার কাঠিন্য সম্পর্কে ধারণা করতে না পারে। অধিকন্তু তারা বদর যুদ্ধের পর এ বিষয়ে সর্ব সম্মত সিদ্ধান্তও গ্রহণ করেছিল যে, মুসলিমগণের সঙ্গে এক ভীষণ যুদ্ধ করে নিজেদের কলিজা ঠান্ডা করবে এবং নিজেদের ক্রোধ ও প্রতিহিংসার প্রক্ষোভ প্রশমিত করবে। এ প্রেক্ষ

বদর যুদ্ধে অংশগ্রহণ কারী ও শাহাদতবরণকারী সাহাবি

ছবি
#মো. আবু রায়হান বদর যুদ্ধ যখন সংঘটিত হয় তখন রমজান মাস ছিল। দিনটি ছিল ১৭ রমজান। ২য় হিজরী। ৬২৩ মতান্তরে ৬২৪ খ্রিস্টাব্দ। মদিনা শহর হতে ৭০ মাইল দূরে বদর নামক প্রান্তরে বদরের যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছিল। বদরের যুদ্ধ ছিল মুসলমানদের জন্য প্রথম ও প্রধান যুদ্ধ। এ কারণেই বদর যুদ্ধের বিজয়ের গুরুত্ব ও তাৎপর্য ছিল অনেক বেশি। বদরের যুদ্ধে মুসলিম সৈন্য সাহাবি ছিলেন মাত্র ৩১৩ জন।তাদের মধ্যে ৮০ জন ছিলেন মুহাজির সাহা্বি ও ২৩৩ জন ছিলেন আনসার সাহা্বি। বদর যুদ্ধে মুসলমানদের ঘোড়া ছিল ২ টি এবং উট ছিল ৭০ টি। মুসলমান অধিকাংশ সৈনিকের হাতে তেমন কোন প্রয়োজনীয় অস্ত্র ছিল না।অমুসলিম তথা কুরাইশদের পদাতিক বাহিনীর সৈন্য সংখ্যা ছিল ১০০০জন, উষ্ট্রারোহী ৭০০ জন, অশ্বারোহী ৩০০ জন, খাদ্যের ব্যবস্থাপনায় ছিল ১৩ জন এবং যুদ্ধাস্ত্র বহনের জন্য ছিল শত শত উট। লৌহবর্ম ছিল ৬০০ টি। এ ছাড়া কুরাইশ বাহিনী মারাত্মক অস্ত্রশস্ত্রে সুসজ্জিত ছিল। পবিত্র কোরআনের একাধিক আয়াত দ্বারা বদর যুদ্ধের এবং অসংখ্য হাদিস দ্বারা বদর যুদ্ধে অংশগ্রহণকারীদের মর্যাদা প্রমাণিত।হযরত আবু হুরায়রা (রা.) হাদিসে মহানবী (সা.) বদর যুদ্ধে অংশগ্রহণকারীদের ক্ষমার সুসংবাদ দান

স্বাধীনতা যুদ্ধে আলেম সমাজের ভূমিকা

ছবি
#মো. আবু রায়হান আমাদের স্বাধীনতা অর্জনে আলেম-উলামার অবদান অবিস্মরণীয় । আলেমদের ভুমিকা সেইভাবে লেখা হয়নি। বরং স্বাধীনতার পর আলেমদের সব সময় নেতিবাচকভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে । ‘আলেম-উলামা ও টুপি-দাড়ি’ মানেই স্বাধীনতাবিরোধী নয়! বাংলাদেশে শান্তিপূর্ণ ও আধ্যাত্মশক্তিতে ইসলামের সর্বজনীন বিস্তরণে আলেমসমাজের ভূমিকা চিরস্মরণীয়। অথচ অজ্ঞতাবশত অনেকে ধর্মপ্রাণ মানুষকে স্বাধীনতাবিরোধী হিসেবে চিত্রিত করে। একইভাবে নাটক-সিনেমার ‘খল চরিত্র’ হিসেবে পোশাকি ব্যবহার দুঃখজনক। স্বাধীনতার যুদ্ধে শরিক ছিলেন দেশের শ্রদ্ধাভাজন আলেম সমাজও। সৈয়দ আবুল মকসুদের ভাষায়, ‘একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে আলেম-ওলামা ও মসজিদের ইমাম-মুয়াজ্জিনদের ভূমিকা স্মরণীয়। পাকিস্তানি বাহিনীর সহযোগী ঘাতক দালাল, রাজাকার, আলবদর প্রভৃতি অন্য এক প্রজাতি। তারা ঘৃণার পাত্র। আলেম-ওলামারা ধর্ম-নির্বিশেষে সব মানুষেরই অত্যন্ত শ্রদ্ধাভাজন।’ (সৈয়দ আবুল মকসুদের কলাম, ‘দ্য সুপ্রিম টেস্ট’, প্রথম আলো (০৭-০৪-১৩ ইং)। ভারতবর্ষের স্বাধীনতা আন্দোলন থেকে শুরু করে বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের বীর-সৈনিক শহীদ তিতুমীর, হাজী শরীয়তুল্লাহ্, দুদু মিয়া, মাওলানা গাজী ইমামুদ্

ইরিত্রিয়া দেশ পরিচিতি

ছবি
  #মো. আবু রায়হান ইরিত্রিয়া উত্তর-পূর্ব আফ্রিকার একটি রাষ্ট্র। পুরো নাম স্টেট অব ইরিত্রিয়া।ইরিত্রিয়ার উত্তর ও উত্তর-পশ্চিমে রয়েছে সুদান, দক্ষিণ ও পশ্চিমে ইথিওপিয়া ও দক্ষিণ-পূর্বে রয়েছে জিবুতি। দেশটির পূর্ব ও উত্তর-পূর্ব দিকে লোহিত সাগরের পাড়ে সুবিস্তৃত উপকূলীয় অঞ্চল রয়েছে। লোহিত সাগরের গ্রিক নামানুসারেই ইরিত্রিয়ার নামকরণ। রাজধানী: আসমারা দেশটির রাজধানী ও বৃহত্তম শহর। আয়তন : এক লাখ ১৭ হাজার ৬০০ বর্গকিলোমিটার। জনসংখ্যা : ৬৩ লাখ ৮০ হাজার ৮০৩। ভাষা: সুনির্দিষ্ট নয় (ডি ফ্যাক্টো হিসেবে তিগ্রিনিয়া ব্যবহার করা হয়)। মুদ্রা : নাকফা। জাতিসংঘে যোগদান : ২৮ মে, ১৯৯৩। ইতিহাস দেশটি অতীতে ইতালি ও যুক্তরাজ্যের অধীনে ছিল। ১৯৫২ সালে ইথিওপিয়া দেশটিকে দখল করে। কিন্তু ইরিত্রিয়ার জনগণ স্বাধীনতা সংগ্রাম শুরু করে।ইথিওপিয়ার কাছ থেকে দেশটি স্বাধীনতা লাভ করে ১৯৯৩ সালে। এর আগে ৩০ বছর ধরে চলে তাদের স্বাধীনতার লড়াই। আজো এ দুই রাষ্ট্র তাদের সম্পর্ক পুনর্নির্মাণের ক্ষেত্রে নেতিবাচক মনোভাবই বজায় রেখেছে। বলা যায়, তারা ইতিহাসের ভুলগুলো পুনরাবৃত্তি ঘটাচ্ছে।দুই দেশের সীমান্ত বন্ধ ও কাঁটাতার দিয়ে ঘেরা। সরকারগুলোও দ