পোস্টগুলি

বদর যুদ্ধে অংশগ্রহণ কারী ও শাহাদতবরণকারী সাহাবি

ছবি
#মো. আবু রায়হান বদর যুদ্ধ যখন সংঘটিত হয় তখন রমজান মাস ছিল। দিনটি ছিল ১৭ রমজান। ২য় হিজরী। ৬২৩ মতান্তরে ৬২৪ খ্রিস্টাব্দ। মদিনা শহর হতে ৭০ মাইল দূরে বদর নামক প্রান্তরে বদরের যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছিল। বদরের যুদ্ধ ছিল মুসলমানদের জন্য প্রথম ও প্রধান যুদ্ধ। এ কারণেই বদর যুদ্ধের বিজয়ের গুরুত্ব ও তাৎপর্য ছিল অনেক বেশি। বদরের যুদ্ধে মুসলিম সৈন্য সাহাবি ছিলেন মাত্র ৩১৩ জন।তাদের মধ্যে ৮০ জন ছিলেন মুহাজির সাহা্বি ও ২৩৩ জন ছিলেন আনসার সাহা্বি। বদর যুদ্ধে মুসলমানদের ঘোড়া ছিল ২ টি এবং উট ছিল ৭০ টি। মুসলমান অধিকাংশ সৈনিকের হাতে তেমন কোন প্রয়োজনীয় অস্ত্র ছিল না।অমুসলিম তথা কুরাইশদের পদাতিক বাহিনীর সৈন্য সংখ্যা ছিল ১০০০জন, উষ্ট্রারোহী ৭০০ জন, অশ্বারোহী ৩০০ জন, খাদ্যের ব্যবস্থাপনায় ছিল ১৩ জন এবং যুদ্ধাস্ত্র বহনের জন্য ছিল শত শত উট। লৌহবর্ম ছিল ৬০০ টি। এ ছাড়া কুরাইশ বাহিনী মারাত্মক অস্ত্রশস্ত্রে সুসজ্জিত ছিল। পবিত্র কোরআনের একাধিক আয়াত দ্বারা বদর যুদ্ধের এবং অসংখ্য হাদিস দ্বারা বদর যুদ্ধে অংশগ্রহণকারীদের মর্যাদা প্রমাণিত।হযরত আবু হুরায়রা (রা.) হাদিসে মহানবী (সা.) বদর যুদ্ধে অংশগ্রহণকারীদের ক্ষমার সুসংবাদ দান

স্বাধীনতা যুদ্ধে আলেম সমাজের ভূমিকা

ছবি
#মো. আবু রায়হান আমাদের স্বাধীনতা অর্জনে আলেম-উলামার অবদান অবিস্মরণীয় । আলেমদের ভুমিকা সেইভাবে লেখা হয়নি। বরং স্বাধীনতার পর আলেমদের সব সময় নেতিবাচকভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে । ‘আলেম-উলামা ও টুপি-দাড়ি’ মানেই স্বাধীনতাবিরোধী নয়! বাংলাদেশে শান্তিপূর্ণ ও আধ্যাত্মশক্তিতে ইসলামের সর্বজনীন বিস্তরণে আলেমসমাজের ভূমিকা চিরস্মরণীয়। অথচ অজ্ঞতাবশত অনেকে ধর্মপ্রাণ মানুষকে স্বাধীনতাবিরোধী হিসেবে চিত্রিত করে। একইভাবে নাটক-সিনেমার ‘খল চরিত্র’ হিসেবে পোশাকি ব্যবহার দুঃখজনক। স্বাধীনতার যুদ্ধে শরিক ছিলেন দেশের শ্রদ্ধাভাজন আলেম সমাজও। সৈয়দ আবুল মকসুদের ভাষায়, ‘একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে আলেম-ওলামা ও মসজিদের ইমাম-মুয়াজ্জিনদের ভূমিকা স্মরণীয়। পাকিস্তানি বাহিনীর সহযোগী ঘাতক দালাল, রাজাকার, আলবদর প্রভৃতি অন্য এক প্রজাতি। তারা ঘৃণার পাত্র। আলেম-ওলামারা ধর্ম-নির্বিশেষে সব মানুষেরই অত্যন্ত শ্রদ্ধাভাজন।’ (সৈয়দ আবুল মকসুদের কলাম, ‘দ্য সুপ্রিম টেস্ট’, প্রথম আলো (০৭-০৪-১৩ ইং)। ভারতবর্ষের স্বাধীনতা আন্দোলন থেকে শুরু করে বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের বীর-সৈনিক শহীদ তিতুমীর, হাজী শরীয়তুল্লাহ্, দুদু মিয়া, মাওলানা গাজী ইমামুদ্

ইরিত্রিয়া দেশ পরিচিতি

ছবি
  #মো. আবু রায়হান ইরিত্রিয়া উত্তর-পূর্ব আফ্রিকার একটি রাষ্ট্র। পুরো নাম স্টেট অব ইরিত্রিয়া।ইরিত্রিয়ার উত্তর ও উত্তর-পশ্চিমে রয়েছে সুদান, দক্ষিণ ও পশ্চিমে ইথিওপিয়া ও দক্ষিণ-পূর্বে রয়েছে জিবুতি। দেশটির পূর্ব ও উত্তর-পূর্ব দিকে লোহিত সাগরের পাড়ে সুবিস্তৃত উপকূলীয় অঞ্চল রয়েছে। লোহিত সাগরের গ্রিক নামানুসারেই ইরিত্রিয়ার নামকরণ। রাজধানী: আসমারা দেশটির রাজধানী ও বৃহত্তম শহর। আয়তন : এক লাখ ১৭ হাজার ৬০০ বর্গকিলোমিটার। জনসংখ্যা : ৬৩ লাখ ৮০ হাজার ৮০৩। ভাষা: সুনির্দিষ্ট নয় (ডি ফ্যাক্টো হিসেবে তিগ্রিনিয়া ব্যবহার করা হয়)। মুদ্রা : নাকফা। জাতিসংঘে যোগদান : ২৮ মে, ১৯৯৩। ইতিহাস দেশটি অতীতে ইতালি ও যুক্তরাজ্যের অধীনে ছিল। ১৯৫২ সালে ইথিওপিয়া দেশটিকে দখল করে। কিন্তু ইরিত্রিয়ার জনগণ স্বাধীনতা সংগ্রাম শুরু করে।ইথিওপিয়ার কাছ থেকে দেশটি স্বাধীনতা লাভ করে ১৯৯৩ সালে। এর আগে ৩০ বছর ধরে চলে তাদের স্বাধীনতার লড়াই। আজো এ দুই রাষ্ট্র তাদের সম্পর্ক পুনর্নির্মাণের ক্ষেত্রে নেতিবাচক মনোভাবই বজায় রেখেছে। বলা যায়, তারা ইতিহাসের ভুলগুলো পুনরাবৃত্তি ঘটাচ্ছে।দুই দেশের সীমান্ত বন্ধ ও কাঁটাতার দিয়ে ঘেরা। সরকারগুলোও দ

ইথিওপিয়ায় ইসলাম ও মুসলমান

ছবি
  #মো. আবু রায়হান  ইথিওপিয়া উত্তর-পূর্ব আফ্রিকার একটি প্রজাতান্ত্রিক রাষ্ট্র।সরকারি নাম ইথিওপীয় সরকারী গণপ্রজাতন্ত্র। ইথিওপিয়ার উত্তর-পূর্বে ইরিত্রিয়া এবং জিবুতি, পূর্বে ও দক্ষিণ-পূর্বে সোমালিয়া, দক্ষিণ-পশ্চিমে কেনিয়া এবং পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিমে সুদান। দেশটি নয়টি প্রশাসনিক অঞ্চলে বিভক্ত। ইথিওপিয়া আফ্রিকার প্রাচীনতম স্বাধীন রাষ্ট্র।প্রতিটি অঞ্চলে একটি করে প্রধান জাতিগত গোষ্ঠী বাস করে। বিংশ শতাব্দী পর্যন্তও দেশটি আবিসিনিয়া নামে পরিচিত ছিল। আফ্রিকার দেশগুলোর মধ্যে ইউরোপীয় উপনিবেশ থেকে তারাই প্রথম স্বাধীনতা লাভ করে। দেশটিতে মাত্র পাঁচ বছর ইতালির উপনিবেশ ছিল। ভূমিবেষ্টিত এই দেশ আফ্রিকার দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ঘনবসতিপূর্ণ দেশ। এ ক্ষেত্রে শীর্ষ অবস্থান নাইজেরিয়ার দখলে। রাজধানীঃ আদদিস আবাবা রাজধানী ও সর্ববৃহৎ শহর । আয়তন: ১১ লাখ চার হাজার ৩০০ বর্গকিলোমিটার। জনসংখ্যাঃ ৯ কোটি ৯৪ লাখ ৬৫ হাজার ৮১৯। জনগোষ্ঠী ওরোমো ৩৪.৫% , এরপর দ্বিতীয় বৃহৎ জনগোষ্ঠী হলো আমারা ২৬.৯%। এছাড়া রয়েছে সোমালি ৬.২% , টিগারাওয়ে ৬.১% , সিডামা ৪, গুরেজ ২.৫% , ওয়েলাইটা ২.৩% , হাদিয়া ১.৭% , আফার ১.৭%, গেডো (১.৩%)। ধর্মঃ থিওপিয়ন
ছবি
কুফার ঐতিহাসিক গ্র্যান্ড মসজিদ। এ মসজিদেই নামাজরত অবস্থায় এক ধর্মান্ধ খারিজির তরবারির আঘাতে আহত হন হযরত আলী (রা)। ১৯ রমজানের ওই হামলার ফলেই ২১ রমজান শাহাদত বরণ করেন তিনি। 

আন্দালুসিয়ান প্রতিভা

  মো.আবু রায়হানঃআন্দালুসিয়া মধ্যযুগে মুসলিম শাসিত ইবেরিয়ান উপদ্বীপ বোঝানো হয়। বর্তমানে এটি স্পেন ও পর্তুগালের অংশ।সংক্ষিপ্তকালের জন্য ফ্রান্সের দক্ষিণের সেপ্টিমেনিয়া অঞ্চল এর অংশ ছিল এবং এটি পশ্চিম ইউরোপ ও ইতালিকে সংযুক্ত করেছিল। পুরো ইবেরিয়ান উপদ্বীপকে বোঝানো হলেও রিকনকোয়েস্টা অগ্রসর হওয়ার সাথে সাথে এর সীমানা পরিবর্তন হয়েছে। ৭১১ থেকে ১৪৯২ সাল পর্যন্ত এর আয়ুষ্কাল ধরা হয়। ।অষ্টম শতকের প্রারম্ভে মুসলিম শাসন প্রতিষ্ঠার পর মধ্যযুগের প্রায় পুরোটা জুড়েই মুসলিমরা আন্দালুসিয়ার মূল শাসক ছিলেন । ৭১১ খ্রিস্টাব্দে মুসলমানরা স্পেন বিজয়ের দুই থেকে ৩০০ বছরের মধ্যেই স্পেনের প্রায় ৮০ শতাংশেরও বেশি মানুষ মুসলমান হয়েছিল; যা সংখ্যায় ৫০ লাখেরও বেশি। যাদের বেশির ভাগই স্পেনের স্থানীয় অধিবাসী ছিল। তাঁরা স্পেন শাসন করেন ৭৮০ বছর।বর্তমান ইউরোপের প্রবেশদ্বার জিব্রাল্টার থেকে কর্ডোবা, গ্রানাডা, মালাগা, আলমেরিয়া, সারাগোসা, টারাগোনা, বার্সেলোনা, টলেডো বর্তমান রাজধানী মাদ্রিদের নিকটবর্তী শহর এবং পিরেনিজ পর্বতমালা পর্যন্ত গোটা স্পেন ছিল মুসলমানদের বিজিত। আর সে সময়ে আন্দালুসিয়ার রাজধানী কর্ডোভা ছিল মুসলিম