পোস্টগুলি

নুরের উপর আক্রমণ ঢাবির জন্য অবমাননা

কোটা সংস্কার আন্দোলন থেকে উঠা আসা নুরুল হক নুর এখন যেনতেন কোন ব্যক্তি নয়। নুরের আন্দোলন জীবনের দুটো অংশ। প্রথমতঃ   কোটা সংস্কার আন্দোলন তথা ডাকসুর ভিপি নির্বাচিত হবার পূর্ব কাল এবং দ্বিতীয়তঃ বর্তমান ডাকসুর ভিপি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ হতে আজ অবধি। ভুলে গেলে চলবে না কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় তার উপর অসংখ্য বার পৈশাচিক শারীরিক আক্রমণ হয়েছে।তারপরেও সে দমিয়ে যায়নি। মূলত নুরের নেতৃত্বে আন্দোলনের কারণে অভিশপ্ত কোটা ব্যবস্থা বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে। যদিও কার্যকারিতা এখনো দৃশ্যমান নয়। সেই সময়ে তার উপর আক্রমণ যেমন নিন্দিত হয়েছে ক্ষুদ্র একটি মহলের কাছে নন্দিত হয়েছে। যদিও এই সংখ্যা খুবই নগন্য। সুস্থ বিবেকবোধ সম্পন্ন মানুষ কখনো কারো ওপর আক্রমণের দৃশ্য অবলোকন করে পৈশাচিক সুখ অনুভব করতে পারে না।যদিও নুরের উপর আক্রমণের পর যে পৈশাচিক সুখে অবগাহন করে কেউ কেউ সুখানুভূতি পেয়েছিল।কোটা সংস্কার আন্দোলন ছিল একটি যৌক্তিক আন্দোলন।যেখা‌নে সাধারণ শিক্ষার্থীদের (স্বতঃসফুরতো) অংশগ্রহণ ছিল। ক্রমান্বয়ে দানা বেঁধে উঠা সেই আন্দোলনকে কূটকৌশলে এবং বাজে ভাবে বানচাল করার যথেষ্ট অপচেষ্টা চালানো হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত কুলে উ

চা সমাচার

চা আহা কি মজার পানীয়। চায়ের নাম শোনেননি বা পান করেননি এমন বাঙালি খুঁজে পাওয়া মুশকিল। ব্রিটিশরা এদেশে আসার পর চায়ের  জনপ্রিয়তা বাড়তে থাকে। শীতের সকালে চাদর মুড়ি দিয়ে  কুয়াশার মধ্যে এক কাপ চা হলে কি যে খুশি হওয়া যায়। একটু  ইমাজিন করেন। কারো বাসায় বেড়াতে গেলে চা পান করেন বা না করেন এক কাপ চায়ের অফার তো সৌজন্যতার খাতিরে পাবেনই।  বাংলাদেশ চা উৎপাদনে বিশ্বে অষ্টম কিন্তু চা খোরের সংখ্যায় ডাবল অর্থাৎ ষোলোতম। দিন দিন এদেশে চাখোরের সংখ্যা বাড়ছে ফলে চা রপ্তানির পরিমাণও কমে যাচ্ছে। ১৮৫৪  সালে সিলেটে মালিনীছড়ায় ব্রিটিশরা যে চায়ের আবাদ শুরু করল আজ অবধি তা চলছে। এখন বাংলাদেশে মোট চা বাগান ১৬৬ টি। গ্রিক দেবী থিয়ার নাম থেকে টি এবং টি  চীনা উচচারণে চি হয়ে পরবর্তীতে চা নাম ধারন করেছে। বিভিন্ন প্রকার চা আছে কালো চা সবুজ, হলদে ইত্যাদি। চা নিয়ে অনেক মজার কাহিনী তো আছে এইতো সেদিন চাখোর নাটকে দেখলাম মো. করিমের দিনে পঞ্চাশ-ষাট কাপ চা না হলো চলেই না। চা অনেকটা নেশার মতো যে নিয়মিত পান করে না।  সে  তেমনটা ফিল করেনা। ( এক) এলাকার চেয়ারম্যানের বাড়ি  গেছে একজন গরীব কৃষক।  জীবনে চা পান করেনি সে।  কাজ শেষে ফেরার সময়

কৃষকের সঙ্গে মশকরা কি বন্ধ হয়েছে?

সাম্প্রতিক সময়ে ধানের ন্যায্য মূল্য না পাওয়া নিয়ে সারাদেশের কৃষকের মধ্যে জ্বলছে ক্ষোভের আগুন । ধানের মূল্য উৎপাদন খরচের চেয়ে কম হওয়ায় কৃষকেরা পড়ছেন ভীষণ বিপাকে। কষ্টে উৎপাদিত ফসলটুকু যেন আরেকটি কষ্টের প্রতিচ্ছবি। ধানের ন্যায্য দাবি আদায়ে যখন দেশের বিভিন্ন স্থানে কৃষকেরা বিচ্ছিন্নভাবে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করছেন তখন দুএকজন এমপি মন্ত্রীর অযাচিত মন্তব্য কৃষক সমাজকে করেছে বিক্ষুব্ধ ও মর্মাহত। টাঙ্গাইলের একজন কৃষক যখন ধানের ন্যায্য মূল্য না পেয়ে  ধানের ক্ষেত যখন আগুনে পুড়িয়ে ফেললেন। প্রথম আলোসহ অধিকাংশ পত্রিকায় খবরটি এসেছে। ধানের দাম কম। আবার কৃষি শ্রমিকের মজুরি বেশি। এই রাগে টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার বানকিনা গ্রামের কৃষক আবদুল মালেক সিকদার গতকাল রোববার দুপুরে নিজের পাকা ধানে পেট্রল ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেন।  এ দৃশ্য পত্র পত্রিকায় ও সোসাল মিডিয়ায় আসার পরে দেশবাসীই যেন চরমভাবে দগ্ধ হয়েছেন।দগ্ধ হননি মন্ত্রী মশাই। বিবেক দংশন করেনি তাকে। এদেশের ৮০% কৃষক। সরাসরি কৃষি পেশায় জড়িত অসংখ্য মানুষ। এদেশের অভিজাত বলে দাবি করা কৃষিকে হেয় জ্ঞান করা অনেক মানুষের শরীর থেকে এখনো বের হয় গ্রামের পচা কাদা মাট

পোশাকের নাম করণে বেহায়পনার সুড়সুড়ি

ঈদ এলেই এদেশের এক শ্রেণীর ব্যবসায়ীর মাথায় ঢুকে নোংরা অবাস্তব কিছু চিন্তাধারা। সেসব নোংরা চিন্তাধারার প্রতিফলন ঘটে মেয়েদের বিভিন্ন পোশাকের নামকরণে।  মুসলমানদের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব ঈদ উপলক্ষে এদের এই মাতামাতি ও কুবুদ্ধি বৃদ্ধি  পায়। যারা এসব করে তারা আবার নিজেদের মুসলমান বলেও পরিচয় দেয়।গত কয়েবছর ধরে ঈদে পদ্মাবতী, কিরণমালা, পাখি, কটকটিসহ ভিন্ন ভিন্ন নামে পোশাক বিক্রি করতে দেখা গেছে। এবার ঈদে ‘পরকীয়া’ নামক মেয়েদের এক পোশাক তারা বাজারে এনেছে। রাজধানীর অভিজাত শপিংমলে ক্রেতা আকর্ষণের জন্য বার্বি ডলের গায়ে সাঁটিয়ে রাখা হয়েছে ‘পরকিয়া’ নামের এ পোশাকটি। দাম রাখা হয়েছে ১৪ হাজার ৭০০ টাকা।এধরনের নাম করণ একধরনের নোংরা মনমানসিকতার পরিচায়ক ও বেহায়পনায় সুড়সুড়ি দেওয়ার শামিল। অবিলম্বে এ পোশাকের নাম পরিবর্তন করে শালীন নামকরণের দাবি জানাচ্ছি ।

মোটিভেশনালে ইমোশনাল

আজকাল অমনোযোগী শিক্ষার্থী বলি কিংবা ক্যারিয়ার অসচেতনদের জন্য উন্নত ক্যারিয়ার তৈরিতে মোটিভেশনাল স্পীচ কিংবা কাউন্সিলিং খুবই ফলদায়ক ও বলদায়ক মনে হয়। ভার্সিটিতে ভর্তির আগে বড় ভাইয়াদের সাফল্যগাথার গল্পের ফুলঝুড়ি। বিসিএস পরীক্ষার আগে সিনিয়র ভাইয়া কিংবা অভিজাত ক্যাডারদের ঘুম নিদ্রাহীনহীন তাদের সেই দিন গুলোর চমকপ্রদ গালগল্প। আমরা মন্ত্রমুগ্ধের মতো শ্রবণে পাই উন্নত ক্যারিয়ার তৈরির  উন্মাদনা ও রসদ।এরপর খাওয়া নাওয়া ছেড়ে মালকোচা দিয়ে নেমে যাই অধ্যাবসায়। ফলাফল কেউ জিরো থেকে হিরো। কেউ জিরো থেকে জিরো।তবে এ পড়াশোনায় কিছু জ্ঞান গরীমা অর্জন হয়  যদি চাকরি না ও জোটে।বরং এসবের চেয়ে বড় শক্তি হলো নিজের আত্মবিশ্বাস ও কর্মস্পৃহা। পড়াশোনা না করে কেউ ক্যাডার বানিয়ে দেবেন না। তারা শুধু আপনাকে পথ দেখাতে পারেন , স্বপ্ন দেখাতে পারেন । তারা হলেন স্বপ্ন বেচার ফেরিওয়ালা। বাংলাদেশে বর্তমান স্বপ্নের ফেরিওয়ালাদের ব্যবসা জমজমাট রমরমা। শহুরে গ্রামের সবাই এটি সমহারে গলাধঃকরণে ব্যতিব্যস্ত। ফলাফল যাই হোক না কেন। সফল মানুষরা যখন তাদের গল্প বলেন আমরা তখন কান দুটো খাড়া করে শ্রবণ করে  তৃপ্ত ও উদীপ্ত হয়।তাদের মতো সফল সা