পোস্টগুলি

পোশাকের নাম করণে বেহায়পনার সুড়সুড়ি

ঈদ এলেই এদেশের এক শ্রেণীর ব্যবসায়ীর মাথায় ঢুকে নোংরা অবাস্তব কিছু চিন্তাধারা। সেসব নোংরা চিন্তাধারার প্রতিফলন ঘটে মেয়েদের বিভিন্ন পোশাকের নামকরণে।  মুসলমানদের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব ঈদ উপলক্ষে এদের এই মাতামাতি ও কুবুদ্ধি বৃদ্ধি  পায়। যারা এসব করে তারা আবার নিজেদের মুসলমান বলেও পরিচয় দেয়।গত কয়েবছর ধরে ঈদে পদ্মাবতী, কিরণমালা, পাখি, কটকটিসহ ভিন্ন ভিন্ন নামে পোশাক বিক্রি করতে দেখা গেছে। এবার ঈদে ‘পরকীয়া’ নামক মেয়েদের এক পোশাক তারা বাজারে এনেছে। রাজধানীর অভিজাত শপিংমলে ক্রেতা আকর্ষণের জন্য বার্বি ডলের গায়ে সাঁটিয়ে রাখা হয়েছে ‘পরকিয়া’ নামের এ পোশাকটি। দাম রাখা হয়েছে ১৪ হাজার ৭০০ টাকা।এধরনের নাম করণ একধরনের নোংরা মনমানসিকতার পরিচায়ক ও বেহায়পনায় সুড়সুড়ি দেওয়ার শামিল। অবিলম্বে এ পোশাকের নাম পরিবর্তন করে শালীন নামকরণের দাবি জানাচ্ছি ।

মোটিভেশনালে ইমোশনাল

আজকাল অমনোযোগী শিক্ষার্থী বলি কিংবা ক্যারিয়ার অসচেতনদের জন্য উন্নত ক্যারিয়ার তৈরিতে মোটিভেশনাল স্পীচ কিংবা কাউন্সিলিং খুবই ফলদায়ক ও বলদায়ক মনে হয়। ভার্সিটিতে ভর্তির আগে বড় ভাইয়াদের সাফল্যগাথার গল্পের ফুলঝুড়ি। বিসিএস পরীক্ষার আগে সিনিয়র ভাইয়া কিংবা অভিজাত ক্যাডারদের ঘুম নিদ্রাহীনহীন তাদের সেই দিন গুলোর চমকপ্রদ গালগল্প। আমরা মন্ত্রমুগ্ধের মতো শ্রবণে পাই উন্নত ক্যারিয়ার তৈরির  উন্মাদনা ও রসদ।এরপর খাওয়া নাওয়া ছেড়ে মালকোচা দিয়ে নেমে যাই অধ্যাবসায়। ফলাফল কেউ জিরো থেকে হিরো। কেউ জিরো থেকে জিরো।তবে এ পড়াশোনায় কিছু জ্ঞান গরীমা অর্জন হয়  যদি চাকরি না ও জোটে।বরং এসবের চেয়ে বড় শক্তি হলো নিজের আত্মবিশ্বাস ও কর্মস্পৃহা। পড়াশোনা না করে কেউ ক্যাডার বানিয়ে দেবেন না। তারা শুধু আপনাকে পথ দেখাতে পারেন , স্বপ্ন দেখাতে পারেন । তারা হলেন স্বপ্ন বেচার ফেরিওয়ালা। বাংলাদেশে বর্তমান স্বপ্নের ফেরিওয়ালাদের ব্যবসা জমজমাট রমরমা। শহুরে গ্রামের সবাই এটি সমহারে গলাধঃকরণে ব্যতিব্যস্ত। ফলাফল যাই হোক না কেন। সফল মানুষরা যখন তাদের গল্প বলেন আমরা তখন কান দুটো খাড়া করে শ্রবণ করে  তৃপ্ত ও উদীপ্ত হয়।তাদের মতো সফল সা

ইসলামে তাকওয়া

নিশ্চয়ই তোমাদের মধ্যে যারা তাকওয়ার অধিকারী তারাই আল্লাহর নিকট অধিক সম্মানিত।” (সূরা হুজুরাত : ১৩ তাকওয়া কী? তাকওয়া অর্থ হচ্ছে বাঁচা, আত্মরক্ষা করা, নিষ্কৃতি লাভ করা।God consciousness ... piousness, fear of Allah, love for Allah, and self restraint". "God-consciousness or God . অর্থাৎ আল্লাহর ভয় ও তার সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে যাবতীয় অপরাধ, অন্যায় ও আল্লাহর অপছন্দনীয় কাজ, কথা ও চিন্তা থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে রাখার নাম তাকওয়া। একবার হযরত উবাই ইবনে কাব (রা)-কে ওমর (রা) তাকওয়া সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলেন। তিনি বললেন, হে ওমর (রা)! পাহাড়ের দুই ধারে কাঁটাবন, মাঝখানে সরু পথ। এমতাবস্থায় কিভাবে চলতে হবে? তিনি বলেন, গায়ে যেন কাঁটা না লাগে, সাবধানে পথ অতিক্রম করতে হবে। হযরত উবাই ইবনে কাব (রা) বললেন, এটাই তাকাওয়া। সুতরাং আজকের এই পাপ পঙ্কিলতাপৃর্ণ পৃথিবী, যার রন্ধ্রে রন্ধ্রে পাপাচার, অনাচার, শিরক, কুফর, বিদায়াত যেখানে অক্টোপাসের মত ছড়িয়ে আছে, দুর্নীতি, ঘুষ আর সুদের কাঁটা থেকে একজন মুমিনকে আত্মরক্ষা করে সাবধানে জীবনের পথ অতিক্রম করতে হবে। তাকওয়াই হচ্ছে যাবতীয় কল্যাণের মূল উৎস। আল্লাহ রা

জাপানিদের সততায় মুগ্ধ কিন্তু মুসলমানদের সততা!!

সততা উকৃষ্ট পন্থা। সততা মহৎ গুণ। ছোটবেলা থেকেই এগুলো পড়ে আসছি। সততা সত্যবাদিতা এসব শব্দের সঙে সবাই কম বেশি পরিচিত। সাম্প্রতিককালে জাপানিদের সততায় আমরা মুগ্ধ। সেই সঙে নিজেদের দুর্নীতি সততার  দেউলিয়াপনা নিয়ে বড়ই শঙ্কিত। আসুন জেনে আসি জাপানিদের সেই সততার গল্প। যেটি চাউর হয়েছে মানে ভাইরাল হয়েছে। জাপানীরা এমনিই পরিশ্রমী ও সততায় উত্তীর্ণ একটি জাতি । বাংলাদেশে জাপানিরা যে সততা দেখিয়েছে তা বর্তমান বাংলাদেশের পরিপ্রেক্ষিতে বিরল ঘটনা।ঘটনা পড়ে যতটুকু জেনেছি জাপানিরা শুধু সেতুর জন্য বরাদ্দ অতিরিক্ত অর্থ শুধু ফেরত দেয়নি।তারা নির্ধারিত সময়ের আগে কাজ শেষ করে কাজের গতি, আন্তরিকতা ও যথেষ্ট  কর্তব্যপরায়ণ জাতি হিসেবে নিজেদের পরিচয় করিয়ে দিয়েছে। খবর পড়ে  যা জানতে পারি। ঢাকা -চট্টগ্রাম মহাসড়কে মেঘনা-গোমতী দ্বিতীয় সেতু নির্মাণে সময় ও অর্থ বাঁচিয়ে ‘চমক’ দেখালো জপানিরা। এক মাস সময় হাতে থাকতেই সেতুটির নির্মাণ শেষ করেছে তারা। কেবল তাই নয়, ‘চমক’ দেখিয়েছে তিনটি সেতুর মোট নির্মাণ ব্যয় থেকে বেঁচে যাওয়া ৭৩৮ কোটি টাকা সরকারকে ফেরত দিয়েও। ২০১৬ সালের জানুয়ারি মাসে সেতু নির্মাণের কাজ শুরু হয়। প্রকল্প অনুযায়ী, ২০২

বৈশ্বিক শিক্ষক মর্যাদা ও কিছু প্রাসঙ্গিক কথা

শিক্ষক জাতি বিনির্মাণে কারিগর। সুদিনে শিক্ষক থাকে জাতির গাইড হিসেবে। দুর্দিনেও শিক্ষক সমাজ থাকে জাতির পাশে সঠিক পরামর্শক ও নির্দেশক হিসেবে। সেই শিক্ষক সমাজ আজ বাংলাদেশে সামাজিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক দিক দিয়ে চরমভাবে অবহেলিত।অথচ একটি জাতি সমুন্নত ও শির উচুঁ করে দাঁড়িয়ে রাখার অবদান শিক্ষক সমাজের। চাণক্য শ্লোকে আছে, ‘এক অক্ষরদাতা গুরুকেও গুরু বলিয়া মান্য করিবে। এক অক্ষরদাতা গুরুকে যে গুরু বলিয়া মান্য করে না, সে শতবার কুকুরের যোনীতে জন্মগ্রহণ করে চণ্ডালত্ব লাভ করিবে। পিতা জন্ম দেন শারিরীক ভাবে। আর শিক্ষাগুরু জন্মদেন সার্বিক ভাবে। পিতা মাতার পর শিক্ষকের আসন। সমাজ পরিবর্তনে তিন শ্রেণীর ভূমিকা মুখ্য।ভারতের সাবেক রাষ্ট্রপতি এপিজে আবুল কালামের সেই অমৃত বচন -" যদি একটা দেশকে সম্পূণর্রূপে দুর্নীতিমুক্ত ও একটা জাতিকে সুন্দর মনের অধিকারী করতে হয়, তাহলে আমি বিশ্বাস করি, তিনজন ব্যক্তি এক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রাখতে পারেন- বাবা, মা ও শিক্ষক।" বিশ্বের দিকে তাকালে দেখতে পাই যে জাতি যত শিক্ষিত সে জাতি তত উন্নত। তার প্রমাণ বর্তমান  বিশ্বের উন্নত রাষ্ট্রেসমূহ।ইউরোপ,  দক্ষিণ আমেরিকায় শ

কৃষকের কেউ নেই

মাথার ঘাম পায়ে ফেলে কৃষকরা মাঠে ঘাটে কাজ করেন। অতি যত্নে সোনার ফসল ফলান। সেই কৃষকের কষ্টে উৎপাদিত শস্যের মূল্য কি এ রাষ্ট্র দিতে পেরেছে? এদেশের ৮০% মানুষ কৃষক। যারা সূর্য উদয়াস্ত মানুষের পেটের আহার ও দেশের অর্থনীতির চাকা সচলে কাজ করে যাচ্ছেন। আজ তারা চরমভাবে  অবহেলিত। সার কীটনাশক কৃষি উপকরণের মূল্য যখন আকাশ ছোঁয়া তখনও কৃষক উৎপাদনে মনযোগী। কিন্তু কৃষকেরা উৎপাদিত ফসলের কি ন্যায্য মূল্য পাচ্ছেন ? দেশে হাজারো সমস্যায় ভরপুর যা বিভিন্ন কৌশলে বা পদক্ষেপে নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করা হচ্ছে। কিন্তু কৃষকেরা যে ধানের ন্যায্য মূল্য বঞ্চিত এ ব্যাপারে সরকারের দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ নেই বললেই চলে। কৃষকেরা আজ ক্ষেতের ধান প্রতিবাদে পুড়ে ফেলছে কেউ কেউ রাস্তায় ধান ছিটিয়ে প্রতিবাদ করছেন। তারপরও সরকারের টনক নড়ছে না। কেন সরকার আজ কৃষকের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের কষ্টের অভিব্যক্তি গুলো শুনছেন না?  দেশে আজ খুন ধর্ষণ, চাদাবাজি মারামারি মহামারী আকার ধারণ করছে। এ ব্যাপারে সবাই যেন নির্বিকার। ভাব খানা এরকম যে দেশের কোথাও কিছুই হয়নি। অথচ প্রতিদিনের পত্রিকার পাতায় চোখ বুলানো যায় না। এসব নিউজ পড়ে শুধু হাইপারটেনশনই বাড়ে। আ