পোস্টগুলি

দাড়িওয়ালা মানুষের চেয়ে কুকুর বেশি পরিষ্কার

আসুন আগে খবরটা পড়ি। তারপর যুক্তি খন্ডন করি। সুইজারল্যান্ডে একটি ক্লিনিকে পরিচালিত এক গবেষণায় পুরুষের দাড়ি সম্পর্কে ভয়াবহ এক ফলাফল বেরিয়ে এসেছে যে মানুষের দাড়িতে কুকুরের পশমের থেকে বেশি জীবাণু থাকে।হার্সল্যান্ডেন নামক একটি নামকরা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে গবেষণাটি করা হয়।মানুষের এমআরআই স্ক্যান যে মেশিনে করা হয়, সেটাতেই কুকুরেরও এমআরআই স্ক্যান করা সম্ভব কিনা - তা দেখাই ছিল ঐ গবেষণার প্রধান উদ্দেশ্য ।কিন্তু তা করতে গিয়ে দাড়ি রাখার না-জানা বিপদ ফাঁস হয়ে গেছে।গবেষণায় ১৮ জন পুরুষের দাড়ির নমুনা এবং ৩০টি কুকুরের পশমের নমুনা পরীক্ষা করা হয়।তারপর যে ফলাফল দেখা যায় তা আঁতকে ওঠার মতো।১৮ জন পুরুষের প্রত্যেকের দাড়িতে উঁচুমাত্রায় ব্যাকটেরিয়া পাওয়া গেছে।তাদের মধ্যে সাতজনের দাড়িতে এতো উঁচু মাত্রায় ব্যাকটেরিয়া পাওয়া গেছে যেটা যে কোনো সময় ঐ মানুষগুলো অসুস্থ হয়ে পড়তে পারে।কুকুরের পশম কি মানুষের দাড়ির চেয়ে নিরাপদ? অন্তত একটি গবেষণা তাই বলছে।অন্যদিকে, যে ৩০টি কুকুরের নমুনা পরীক্ষা করা হয়, তাদের মধ্যে ২৩টির পশমে ব্যাকটেরিয়ার উপস্থিতি ছিল। কিন্তু বাকি সাতটি কুকুরের পশম ছিল পুরোপুরি জীবাণ

অমুসলিমদের জানমাল ও উপাসনালয়ের নিরাপত্তায় ইসলাম

ছবি
মো. আবু রায়হানঃ মানুষের মধ্যকার বিরোধ অবধারিত হলেও সব ধর্ম ও মতাদর্শের মানুষের জানমালের নিরাপত্তা ও ধর্মীয় উপাসনালয়গুলোকে শ্রদ্ধার চোখে দেখে এবং কোনো উপাসনালয়ে হামলা যেকোনো আইনের চোখে অপরাধ। শান্তির ধর্ম ইসলাম এ বিষয়ে সর্বাধিক সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছে। প্রয়োজনে অন্য ধর্মের উপাসনালয় রক্ষায় যুদ্ধ করার নির্দেশ দিয়েছে। এ বিষয়ে কোরআনের ভাষ্য এমন : ‘...আল্লাহ যদি মানবজাতির এক দলকে অন্য দল দ্বারা প্রতিহত না করতেন, তাহলে বিধ্বস্ত হয়ে যেত খ্রিস্টান সংসারবিরাগীদের উপাসনাস্থল, গির্জা, ইহুদিদের উপাসনালয় ও মসজিদসমূহ, যার মধ্যে আল্লাহর নাম অধিক স্মরণ করা হয়...।’ (সুরা  হজ আয়াত - ৪০) আল্লাহ রাব্বুল আলামীন স্বয়ং কোরানে বলেছেন, “তোমার ধর্মের বিরুদ্ধে যারা যুদ্ধ করেনি, তোমার বসতি থেকে তোমাকে উচ্ছেদ করেনি, তাদের প্রতি তোমার দয়ালু হওয়া উচিৎ এবং তাদের সাথে ন্যায়ানুগ আচরণ কর। নিশ্চয়ই আল্লাহ ন্যায় ভালোবাসেন।” (৬০ / ৮)। অমুসলিম নাগারিককে হত্যা করা সম্পর্কে রাসুলে মকবুল (সঃ) বলেছেন, “যে কোন সংখ্যালঘুকে হত্যা করবে সে বেহেশতের ঘ্রাণও উপভোগ করতে পারবেনা। অথচ বেহেশতের সুঘ্রাণ চল্লিশ বছরের দূরত্ব হতেও অনু

#অদ্ভুত অনিয়ম

#এদেশে ২৫ বছর না হলে প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ সদস্য হতে পারবেন না। #৩৫ বছর না হলে প্রেসিডেন্ট হতে পারবেন না। বুড়ো বয়সে মন্ত্রী এমপি হতে পারবেন। কিন্তু ৩০ বছর পার হলে আপনি সরকারি জবে ঢুকতে পারবেন না। আপনার মেধাকে এখানেই গলাটিপে হত্যা করা হচ্ছে। আপনার স্বপ্নকে বয়স সীমা নামের বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। অথচ এদেশে পড়াশোনা শেষ করে মাস্টার্সের সার্টিফিকেট নিতে লাগে ২৬, ২৭ বছর। দুই তিন বছরেই আপনার আজীবনের লালিত স্বপ্ন বাস্তবায়নের সীমা রেখা বেধে দেওয়া হচ্ছে। এসময়ের মধ্যে এদেশে কাঙ্ক্ষিত জব জোগাড় করা দুরূহ ও কল্পনাতীত। অথচ বিশ্বের ১৫৫টি দেশে চাকরিতে প্রবেশের বয়স সীমা ৩৫ এর ওপরে। আবার কোনো কোনো দেশে নির্ধারিত বয়স সীমা নেই। কিন্তু বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল একটি রাষ্ট্রে তরুণ সমাজ চাকরির বয়স সীমার গ্যাঁড়াকলে আটকে পড়ে নিঃশেষ হয়ে যাচ্ছে। রাষ্ট্র এক্ষেত্রে উপযুক্ত ব্যবস্থা না নিয়ে আইন করে তাদের মেধা ও মননশীলতা বিকশিত করার সব পথ রুদ্ধ করে রেখেছে। যা রীতিমতো মানবাধিকার ও মৌলিক অধিকারের সুষ্পষ্ট লংঘন।

একটি ন্যায্য দাবির যেভাবে অপমৃত্যু হলো

বাংলাদেশের  যুবনীতিতে যুবকদের বয়স ১৮থেকে ৩৫ বছর সুতরাং সরকারি চাকুরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ করার দাবীটা অবশ্যই  যৌক্তিক ।দেশের মানুষের গড় আয়ু যখন ৪৫ বছর ছিল, তখন চাকরিতে প্রবেশের বয়স ছিল ২৭ বছর, আয়ু বেড়ে ৫০ হলে ৩০ বছর করা হয়। এখন আয়ু বেড়ে  যাওয়ার পরও চাকরিতে প্রবেশের বয়স কোনোভাবেই ৩০ বছর থাকতে পারে না।বর্তমানে বাংলাদেশের মানুষের গড় আয়ু ৭২ বছর। সেই হিসেবে চাকরিতে প্রবেশের বয়স সীমা অন্তত ৩৫ হওয়া উচিত।সাধারণ শিক্ষার্থীদের জন্যে বর্তমানে চাকরি শুরু করার বয়স ৩০ হলেও মুক্তিযোদ্ধা, প্রতিবন্ধী, উপজাতি কোটায় এই বয়স ৩২, নার্সের চাকরির জন্যে ৩৬ আর বিভাগীয় প্রার্থীর কোটায় ৩৫ বছর রয়েছে। সরকারি চাকরি থেকে অবসরের বয়সসীমা বৃদ্ধি করা হয়েছে ৫৭ থকে ৫৯ বছর, যা ৬১ তে উন্নীত করার আলোচনা চলছে। অন্যদিকে সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের চাকরি থেকে অবসরের বয়স ৬৫ বছর এবং বিচারকদের ৬৭ বছর। বাংলাদেশে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বর্তমান বয়সসীমা বিশ্বের ১৬২টি দেশের সর্বনিম্ন বয়সের চেয়েও পাঁচ বছর কম। ভারত, যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার মতো উন্নত দেশে চাকরির সর্বোচ্চ বয়স ৪০ থেকে ৫৯ বছর। হাতে গোনা বিশ্বের কয়েকটি দেশে চাক

পিতা-মাতার ভরণ-পোষণ আইন, ২০১৩’ ও ইসলামে পিতামাতার যে অধিকার স্বীকৃত

ছবি
মো. আবু রায়হানঃ আজ থেকে চৌদ্দশত বছর পূর্বে ইসলাম পিতা মাতাকে যথেষ্ট অধিকার দিয়েছে কিন্তু আজ ইসলাম ও ইসলামী মূল্যবোধ থেকে দূরে থাকার কারণে নতুন আইন করে পিতামাতার প্রতি শুভ দৃষ্টি দেবার আহবান জানানো হচ্ছে। যা একজন মুসলিম হিসেবে সত্যিই কষ্টদায়ক ও পীড়াদায়ক।পিতা-মাতা দুনিয়ার সবচেয়ে বড় আপনজন। পিতা-মাতার খেদমত করতে পারা বড়ই সৌভাগ্যের বিষয়। মেরাজ রজনীতে যে ১৪টি বিষয় স্থির হয়, তার প্রথমটি হলো আল্লাহর হক তাওহিদ বা একত্ববাদ এবং শির্ক তথা অংশীবাদিতা থেকে মুক্তি। দ্বিতীয়টি হলো পিতা-মাতার হক বা অধিকার এবং সন্তানের দায়িত্ব ও কর্তব্য এবং করণীয় ও পালনীয়।আমরা আমাদের কর্তব্য ভুলে বিজাতীয় কৃষ্টি কালচার গ্রহন করেছি যে কারণে এই মূল্যবোধের গুরুতর সংকট। লর্ড বার্নার্ড' শ একবার বলেছিলেন, "ইসলাম হচ্ছে শ্রেষ্ঠ ধর্ম এবং মুসলমানরা হচ্ছে সর্ব নিকৃষ্ট অনুসারী।" আসুন আইনটি এক নজরে দেখে আসি। ১। (১) এই আইন পিতা-মাতার ভরণ-পোষণ আইন, ২০১৩ নামে অভিহিত হইবে। (২) ইহা অবিলম্বে কার্যকর হইবে।    সংজ্ঞা   ২। বিষয় বা প্রসঙ্গের পরিপন্থী কোন কিছু না থাকিলে, এই আইনে— (ক) “পিতা” অর্থ এমন ব্যক্তি যিনি সন্তান

প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও ইসলামের নির্দেশনা

ছবি
মো. আবু রায়হান: মাঝেমধ্যে প্রকৃতি বিরূপ রূপ ধারণ করে। রূঢ় ও রুষ্ট হয়, যাকে আমরা প্রাকৃতিক দুর্যোগ বলে থাকি। যেমন ঘূর্ণিঝড়, কালবৈশাখী ঝড়, শিলাবৃষ্টি, অনাবৃষ্টি, জলোচ্ছ্বাস, ভারী বর্ষণ, বন্যা, খরা, দাবানল, শৈত্যপ্রবাহ; দুর্ভিক্ষ, মহামারি, ভূমিকম্প, সুনামি প্রভৃতি। আল্লাহ রাব্বুল আলামিন কিছু কিছু বিপদ-আপদ ও বালা-মুসিবত দিয়ে মানুষকে সতর্ক করেন। আল্লাহ তাআলা বলেন: ‘আর আমি অবশ্যই তোমাদেরকে পরীক্ষা করব কিছু ভয়, ক্ষুধা এবং জান, মাল ও ফলফলাদির ক্ষতির মাধ্যমে। আর তুমি ধৈর্যশীলদের সুসংবাদ দাও। যারা, নিজেদের বিপদ-মুসিবতের সময় বলে, “নিশ্চয় আমরা আল্লাহর জন্য এবং নিশ্চয় আমরা আল্লাহরই দিকে প্রত্যাবর্তনকারী”, তাদের ওপরই রয়েছে তাদের রবের পক্ষ থেকে মাগফিরাত ও রহমত এবং তারাই হিদায়াতপ্রাপ্ত।’ (সুরা-২ [৮৭] বাকারা, রুকু: ১৯, আয়াত: ১৫৫-১৫৭; পারা: ২)। প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কারণ বলতে গিয়ে রসুলুল্লাহ (সা.) থেকে একটি হাদিস বর্ণিত হয়েছে। তিনি বলেন, 'যখন আমার উম্মতের মধ্যে পনের ধরনের বৈশিষ্ট্য পরিলক্ষিত হবে তখন তাদের ওপর প্রাকৃতিক বিপর্যয় নাজিল হবে। রসুল (সা.)-কে জিজ্ঞাসা করা হলো, হে আল্লাহর রসুল। এ বৈশিষ্ট্