পোস্টগুলি

ছবি
  নতুন রাস্তাঘাট এবং আধুনিক অবকাঠামো প্রকল্পের পথ প্রশস্ত করার জন্য মিশর কায়রোর ১,২০০ বছরের পুরনো আল-কারাফা কবরস্থানের কিছু অংশ ভেঙে ফেলছে - যা বিশ্বের প্রাচীনতম সমাধিস্থলগুলির মধ্যে একটি।

আল্লামা মুহাম্মদ ইকবাল

ছবি
  ১৯৩৮ সালের ২১শে এপ্রিল, বিখ্যাত মুসলিম চিন্তাবিদ, দার্শনিক এবং বিখ্যাত উর্দু ও ফার্সি কবি আল্লামা মুহাম্মদ ইকবাল ব্রিটিশ ভারতের লাহোরে মৃত্যুবরণ করেন। তার কর্মজীবন জুড়ে, ইকবাল বিশ্বজুড়ে, বিশেষ করে ভারতীয় উপমহাদেশে মুসলিম সম্প্রদায়ের রাজনৈতিক ও আধ্যাত্মিক পুনরুজ্জীবনের উপর লেখেন এবং বক্তৃতা প্রদান করেন। ১৯২৮-২৯ সালে মাদ্রাজ (বর্তমানে চেন্নাই), হায়দ্রাবাদ এবং আলীগড়ে তিনি যে ছয়টি বক্তৃতা দিয়েছিলেন তা ১৯৩৪ সালে The Reconstruction of Religious Thought in Islam (দ্য রিকনস্ট্রাকশন অফ রিলিজিয়াস থট ইন ইসলাম) নামে প্রকাশিত হয়েছিল। ইকবালের ইসলামিক স্টাডিজে, বিশেষ করে তাসাউফ (সুফিবাদ) -এর প্রতি বিশেষ আগ্রহ ছিল। তাঁর থিসিস, The Development of Metaphysics in Persia, (দ্য ডেভেলপমেন্ট অফ মেটাফিজিক্স ইন পারস্য) ইউরোপে পূর্বে অজানা ইসলামি রহস্যবাদের (তাসাউফ) কিছু দিক প্রকাশ করে।

মাদরাসাতুল মুসতানসিরিয়া বাগদাদ

ছবি
  বাগদাদের  মুসতানসিরিয়া মাদ্রাসা  মাদরাসাতুল মুসতানসিরিয়া হলো বাগদাদের অবস্থিত মুসলিম বিশ্বের অন্যতম প্রাচীন মাদ্রাসা । আব্বাসি খলিফা আল মুস্তানসির ১২২৭ সালে এটি নির্মাণ করেছিলেন। বাগদাদ শহরে শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক পৃষ্ঠপোষকতার প্রতি খিলাফতের অঙ্গীকারের প্রতীক ছিল এটি। এটি দজলা নদীর বাম তীরে অবস্থিত। মোঙ্গলদের বাগদাদ অবরোধের সময় মাদ্রাসাটি টিকে যায়। এর অন্তর্ভুক্ত দালানের মধ্যে আছে সরাই সুক, বাগদাদের জাদুঘর, মুসতানাব্বি স্ট্রিট, আব্বাসীয় প্রাসাদ এবং খলিফার সড়ক। মাদরাসাতুল মুসতানসিরিয়া র গ্রন্থাগারে প্রাথমিকভাবে ৮০,০০০ গ্রন্থ ছিল। খলিফা এগুলো দান করেন। বলা হয় যে সংগ্রহের পরিমাণ ৪,০০,০০০ এ পৌছায়। মোঙ্গল আক্রমণের সময় গ্রন্থাগারটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি। ১৩৯৩ সালে এটি নিজামিয়া মাদ্রাসার সাথে একীভূত হয়। ১৫৩৪ সালে উসমানীয়রা বাগদাদ দখল করলে প্রাসাদ ও গ্রন্থাগারের বইগুলো যুদ্ধলব্ধ সম্পদ হিসেবে নিয়ে যায়। এগুলো ইস্তানবুলের রাজকীয় গ্রন্থাগারের গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে উঠে এবং মুসতানসিরিয়া বন্ধ হয়ে যায়। ১২৩৫ সালে পানির শক্তি ব্যবহার করে দিনে ও রাতে নামাজের সময় জানানোর জন্...

মসজিদ থেকে মন্দির

  ভারতে মুঘল সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা বাবরের একজন সেনাপতি মীর বাকি ১৫২৯ সালে ‘বাবরি মসজিদ’ তৈরি করেন। ১৮২২ সালে প্রথমবারের মত ফৈজাবাদ আদালতের এক চাকরিজীবী দাবি করেন যে, মসজিদটি যে মন্দিরের জমির উপরে অবস্থিত। নির্মোহী আখড়া সংগঠন ঊনবিংশ শতাব্দীর শেষভাগে ঐ জমির উপরে তাদের দাবি জানায়। ১৮৫৫ সালে ঐ ভূখণ্ডের দখল নিয়ে সৃষ্টি হয়েছিল সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা।১৮৫৯ সালে ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক প্রশাসন সংঘর্ষ এড়াতে দেয়াল দিয়ে হিন্দু ও মুসলমানদের প্রার্থনার জায়গা আলাদা করে দেয়। ১৯৪৯ সাল পর্যন্ত সবকিছু ঠিকঠাক মতই চলছিল।ভারত স্বাধীনতা পাওয়ার ঠিক বছর দুয়েকের মাথায় ১৯৪৯ সালে মসজিদের ভেতরে হঠাৎ একদিন সকালে রহস্যময়ভাবে ‘রামলালা’র (শিশু রামচন্দ্র) মূর্তি আবিষ্কৃত হয়। তারিখটা ছিল ২২শে ডিসেম্বর, ১৯৪৯ মধ্যরাতের পর। হিন্দু মহাসভার সদস্যদের মসজিদের অভ্যন্তরে রাম মূর্তি স্থাপন করার অভিযোগে দুই পক্ষের মাঝে সৃষ্টি হয় উত্তেজনার সৃষ্টি হয় এবং তারা আইনের আশ্রয় নেয়। স্থানীয় মুসলিমরা অবশ্য অভিযোগ করেন রাতের অন্ধকারে গোপনে মসজিদের ভেতরে ওই মূর্তিটি রেখে যাওয়া হয়েছে। কিন্তু রামলালার ‘আবির্ভাবে’র খবর ততক্ষণে দিকে দি...

রামমন্দির হলেও মসজিদের কাজ শুরু হয়নি

  ২০১৯ সালে অযোধ্যা মামলায় রায় দেন ভারতের সুপ্রিম কোর্ট। রায়ে বলা হয়, অযোধ্যায় বাবরি মসজিদ ধ্বংস করা বেআইনি ছিল। তবে আদালতে যেসব প্রমাণ উপস্থাপন করা হয়েছে তাতে এটা বোঝা যাচ্ছে মসজিদের জায়গায় একটি অ-ইসলামিক স্থাপনা ছিল। তাই মসজিদের জায়গাটিকে একটি ট্রাস্টকে দেওয়া যেতে পারে এবং সেখানে একটি রাম মন্দির তৈরি করা যেতে পারে।আর উত্তর প্রদেশের সুন্নি ওয়াকপ বোর্ডকে বলা হয়, অযোধ্যায় মসজিদ নির্মাণের জন্য তাদের পাঁচ একর জমি দেওয়া হবে। যেখানে তারা নতুন করে একটি মসজিদ নির্মাণ করতে পারবেন। মসজিদ নির্মাণ কাজের দেখভাল করার দায়িত্ব দেওয়া হয় ইন্দো-ইসলামিক কালচারাল ফাউন্ডেশনকে (আইআইসিএফ)। সুপ্রিম কোর্টের রায় আসার কয়েক মাসের মধ্যেই ১৮ কোটি মার্কিন ডলার ব্যয়ে রাম মন্দির নির্মাণ কাজ শুরু হয়ে যায়।মন্দির নির্মাণের জন্য আনুমানিক ১৮০০ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে। এর প্রাঙ্গনটি ৭০ একর জুড়ে বিস্তৃত, মূল মন্দির রয়েছে ৭.২ একর জায়গা জুড়ে। তিন তলা মন্দির গড়া হয়েছে গোলাপি বেলেপাথর দিয়ে, নিচের দিকে রয়েছে কালো গ্রানাইট পাথর। প্রায় ৭০ হাজার স্কোয়ার ফুট জুড়ে ধবধবে সাদা মার্বেল পাথর পাতা হয়েছে। মার্বেল পাথরের বেদিতে বসানো হবে ৫...

একদিন ইতিহাস লিখবে

 একদিন ইতিহাস লিখবে মিশরে নীল নদ ছিল। কিন্তু গাজার জনগণ পিপাসার্ত হয়ে মারা গিয়েছিল... ইতিহাস লিখবে যে, সৌদি আরব এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের তেল সমুদ্র রয়েছে। কিন্তু গাজায় অ্যাম্বুলেন্সের জন্য জ্বালানী নেই... ইতিহাস লিখবে যে, আরবদের ৪ মিলিয়ন সৈন্য রয়েছে। কিন্তু গাজার জনগণকে রক্ষায় একজন সৈন্যকেও প্রবেশ করাতে পারেনি। ইতিহাস লিখবে যে, সৌদি আরব বিনোদন এবং পার্টির জন্য বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার খরচ করছে। কিন্তু গাজায় রুটি ও খাবার পানি ছিল না... এবং ইতিহাস লিখবে যে পাকিস্তান ইসলামের নামে তৈরি হয়েছিল এবং তারা গাজায় তাদের ভাইদের সাহায্য করার জন্য কিছুই করেনি... নীরব থাকার জন্য জবাবদিহিতা থাকবে...এই পৃথিবীতে এবং চূড়ান্ত বিচারের দিনে!

যুগে যুগে ইহুদিদের বিশ্বাসঘাতকতা

ছবি
    পৃথিবীতে ইহুদিদের মোট সংখ্যা দেড় কোটির মতো । এদের বেশীরভাগ বাস করে ইসরায়েলে। পৃথিবী র একমাত্র ইহুদি রাষ্ট্র ইসরায়েল। ইসরায়েলে ইহুদির প্রায় সংখ্যা ৫৪ লাখ । অবশিষ্ট প্রায় এক কোটি ইহুদি সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে আছে। এর মধ্যে আমেরিকায় ৭০ লাখ , কানাডায় চার লাখ আর ব্রিটেনে তিন লাখ ইহুদি থাকে। ইহুদিরা মার্কিন জনসংখ্যার মাত্র ২ শতাংশ , আর পৃথিবীর মোট জনসংখ্যার মাত্র ০ . ২ শতাংশ। অর্থাৎ পৃথিবীর প্রতি ৫০০ জনে একজন ইহুদি !   পৃথিবীতে ইহুদি এবং মুসলিমদের অনুপাত ১   ১০০ । অর্থাৎ একজন ইহুদির বিপরীতে এক শ ’ জন মুসলিম। এর পরও মুসলিমদের চেয়ে কয়েক শ ’ গুণ ক্ষমতাবান ইহুদিরা। এর কারণ হিসেবে বলা যায় সাংস্কৃতিক , অর্থনৈতিক , বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সব দিক দিয়েই ইহুদিরা এগিয়ে। মহান আল্লাহ তাআলা বলেন , ‘ আর তাদের ওপর আরোপ করা হলো লাঞ্ছনা ও পরমুখাপেক্ষিতা। ’ ( সুরা বাকারা : ৬১) এ আয়াতের তাফসিরে তাফসিরকারগণ বলেন , ‘ তারা যত ধন-সম্পদের অধিকারীই হোক না কেন , বিশ্ব সম্প্রদায়ের মধ্যে তুচ্ছ ও নগণ্য বলে বিবেচিত হবে। যার সংস্পর্শ্বে আসবে সেই তাদের অপমানিত করবে এবং দাসত্বের শৃঙ্খলে জড়িয়ে রাখবে। ...