পোস্টগুলি

চেঙ্গিস খান মোঙ্গল সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠাতা

ছবি
চেঙ্গিস খান মোঙ্গল সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। যা ইতিহাসের বৃহত্তম সংলগ্ন স্থল সাম্রাজ্য হিসেবে স্বীকৃত। চেঙ্গিস খানের আক্রমণের সময় অগণিত মানুষকে হত্যা করা হয়েছিল। জন ম্যান লিখেছেন, "মোঙ্গলদের মতো ধ্বংসাত্মক শক্তি আগে আর কোনও সংস্কৃতির ছিল না; মুসলিম বিশ্ব যতটা ক্ষতিগ্রস্ত হতে যাচ্ছিল, তেমন কোনও সংস্কৃতিরও হয়নি।" মোঙ্গলদের আক্রমণে মুসলিম বিশ্ব ভয়াবহভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে বিকশিত শহর, বাণিজ্য, শিক্ষা এবং সংস্কৃতির কেন্দ্রগুলি ছাই হয়ে গিয়েছিল। ১২৫৮ সালে বাগদাদের ধ্বংস বিশেষভাবে বিধ্বংসী ছিল। আব্বাসীয় খিলাফত ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল। প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে সঞ্চিত গ্রন্থাগার এবংবই পুড়িয়ে ফেলা হয়েছিল। বই টাইগ্রিস নদীতে ফেলে দেওয়া হয়েছিল এবং লক্ষ লক্ষ মানুষকে হত্যা করা হয়েছিল। ওয়েন ল্যাটিমোর, মোঙ্গল জার্নিস থেকে গৃহীত একটি মোঙ্গল লোককাহিনী অনুসারে:চেঙ্গিস খান কোথায়? তিনি মারা যাননি। যা ঘটেছিল তা হল: একটি দূর দেশে এক রাজা ছিলেন যার একটি কন্যা ছিল সূর্যের মতো সুন্দরী। চেঙ্গিস খান কুমারীকে চেয়েছিলেন। রাজা গোপনে তার মেয়েকে বললেন: এই যে একটা ছুর...

শাহ মসজিদ ইসফাহান, ইরান

ছবি
১৮৪১ খ্রিস্টাব্দ মসজিদটি সাফাভিদ রাজবংশের শাহ আব্বাস প্রথম ১৬২৯ সালে নির্মাণ করেছিলেন। ১৮৪১ সালে পারস্য সফরকারী ফরাসি স্থপতি পাস্কাল কস্টের আঁকা ছবি।

মক্কা মদিনার প্রথম ছবি

ছবি
পবিত্র মদিনা নগরী এবং মসজিদে নববীর মনোরম দৃশ্য, ১২৯৭ হিজরি বা ১৮৮০ খ্রিস্টাব্দ।সুলতান আব্দুল হামিদ দ্বিতীয়ের রাজত্বকালে মিশরে জন্মগ্রহণকারী একজন আলোকচিত্রী মুহাম্মদ সাদিক বে ১২৯৭ হিজরি বা ১৮৮০ সালে এটির ছবি তোলেন।সাদিক বে ছিলেন প্রথম ব্যক্তি যিনি মক্কা, মদিনা এবং হজের ছবি তোলেন। একজন মিশরীয় সেনাবাহিনীর প্রকৌশলী এবং জরিপকারী হিসেবে তিনি মিশরীয় হজ কাফেলার কোষাধ্যক্ষও ছিলেন, বহুবার হিজাজে ভ্রমণ করেছিলেন। 
ছবি
  নতুন রাস্তাঘাট এবং আধুনিক অবকাঠামো প্রকল্পের পথ প্রশস্ত করার জন্য মিশর কায়রোর ১,২০০ বছরের পুরনো আল-কারাফা কবরস্থানের কিছু অংশ ভেঙে ফেলছে - যা বিশ্বের প্রাচীনতম সমাধিস্থলগুলির মধ্যে একটি।

আল্লামা মুহাম্মদ ইকবাল

ছবি
১৯৩৮ সালের ২১শে এপ্রিল, বিখ্যাত মুসলিম চিন্তাবিদ, দার্শনিক এবং বিখ্যাত উর্দু ও ফার্সি কবি আল্লামা মুহাম্মদ ইকবাল ব্রিটিশ ভারতের লাহোরে মৃত্যুবরণ করেন। তার কর্মজীবন জুড়ে, ইকবাল বিশ্বজুড়ে, বিশেষ করে ভারতীয় উপমহাদেশে মুসলিম সম্প্রদায়ের রাজনৈতিক ও আধ্যাত্মিক পুনরুজ্জীবনের উপর লেখেন এবং বক্তৃতা প্রদান করেন। ১৯২৮-২৯ সালে মাদ্রাজ (বর্তমানে চেন্নাই), হায়দ্রাবাদ এবং আলীগড়ে তিনি যে ছয়টি বক্তৃতা দিয়েছিলেন তা ১৯৩৪ সালে The Reconstruction of Religious Thought in Islam (দ্য রিকনস্ট্রাকশন অফ রিলিজিয়াস থট ইন ইসলাম) নামে প্রকাশিত হয়েছিল। ইকবালের ইসলামিক স্টাডিজে, বিশেষ করে তাসাউফ (সুফিবাদ) -এর প্রতি বিশেষ আগ্রহ ছিল। তাঁর থিসিস, The Development of Metaphysics in Persia, (দ্য ডেভেলপমেন্ট অফ মেটাফিজিক্স ইন পারস্য) ইউরোপে পূর্বে অজানা ইসলামি রহস্যবাদের (তাসাউফ) কিছু দিক প্রকাশ করে।

মাদরাসাতুল মুসতানসিরিয়া বাগদাদ

ছবি
  বাগদাদের  মুসতানসিরিয়া মাদ্রাসা  মাদরাসাতুল মুসতানসিরিয়া হলো বাগদাদের অবস্থিত মুসলিম বিশ্বের অন্যতম প্রাচীন মাদ্রাসা । আব্বাসি খলিফা আল মুস্তানসির ১২২৭ সালে এটি নির্মাণ করেছিলেন। বাগদাদ শহরে শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক পৃষ্ঠপোষকতার প্রতি খিলাফতের অঙ্গীকারের প্রতীক ছিল এটি। এটি দজলা নদীর বাম তীরে অবস্থিত। মোঙ্গলদের বাগদাদ অবরোধের সময় মাদ্রাসাটি টিকে যায়। এর অন্তর্ভুক্ত দালানের মধ্যে আছে সরাই সুক, বাগদাদের জাদুঘর, মুসতানাব্বি স্ট্রিট, আব্বাসীয় প্রাসাদ এবং খলিফার সড়ক। মাদরাসাতুল মুসতানসিরিয়া র গ্রন্থাগারে প্রাথমিকভাবে ৮০,০০০ গ্রন্থ ছিল। খলিফা এগুলো দান করেন। বলা হয় যে সংগ্রহের পরিমাণ ৪,০০,০০০ এ পৌছায়। মোঙ্গল আক্রমণের সময় গ্রন্থাগারটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি। ১৩৯৩ সালে এটি নিজামিয়া মাদ্রাসার সাথে একীভূত হয়। ১৫৩৪ সালে উসমানীয়রা বাগদাদ দখল করলে প্রাসাদ ও গ্রন্থাগারের বইগুলো যুদ্ধলব্ধ সম্পদ হিসেবে নিয়ে যায়। এগুলো ইস্তানবুলের রাজকীয় গ্রন্থাগারের গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে উঠে এবং মুসতানসিরিয়া বন্ধ হয়ে যায়। ১২৩৫ সালে পানির শক্তি ব্যবহার করে দিনে ও রাতে নামাজের সময় জানানোর জন্...

মসজিদ থেকে মন্দির

  ভারতে মুঘল সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা বাবরের একজন সেনাপতি মীর বাকি ১৫২৯ সালে ‘বাবরি মসজিদ’ তৈরি করেন। ১৮২২ সালে প্রথমবারের মত ফৈজাবাদ আদালতের এক চাকরিজীবী দাবি করেন যে, মসজিদটি যে মন্দিরের জমির উপরে অবস্থিত। নির্মোহী আখড়া সংগঠন ঊনবিংশ শতাব্দীর শেষভাগে ঐ জমির উপরে তাদের দাবি জানায়। ১৮৫৫ সালে ঐ ভূখণ্ডের দখল নিয়ে সৃষ্টি হয়েছিল সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা।১৮৫৯ সালে ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক প্রশাসন সংঘর্ষ এড়াতে দেয়াল দিয়ে হিন্দু ও মুসলমানদের প্রার্থনার জায়গা আলাদা করে দেয়। ১৯৪৯ সাল পর্যন্ত সবকিছু ঠিকঠাক মতই চলছিল।ভারত স্বাধীনতা পাওয়ার ঠিক বছর দুয়েকের মাথায় ১৯৪৯ সালে মসজিদের ভেতরে হঠাৎ একদিন সকালে রহস্যময়ভাবে ‘রামলালা’র (শিশু রামচন্দ্র) মূর্তি আবিষ্কৃত হয়। তারিখটা ছিল ২২শে ডিসেম্বর, ১৯৪৯ মধ্যরাতের পর। হিন্দু মহাসভার সদস্যদের মসজিদের অভ্যন্তরে রাম মূর্তি স্থাপন করার অভিযোগে দুই পক্ষের মাঝে সৃষ্টি হয় উত্তেজনার সৃষ্টি হয় এবং তারা আইনের আশ্রয় নেয়। স্থানীয় মুসলিমরা অবশ্য অভিযোগ করেন রাতের অন্ধকারে গোপনে মসজিদের ভেতরে ওই মূর্তিটি রেখে যাওয়া হয়েছে। কিন্তু রামলালার ‘আবির্ভাবে’র খবর ততক্ষণে দিকে দি...