পোস্টগুলি

সমাবর্তন গাউন

আরবি পোশাক (থাওব) আমাদের আজকের দিন পর্যন্ত শিক্ষা জীবনে বিশুদ্ধ এবং স্পষ্ট চিহ্ন হিসাবে রয়ে গেছে। বিশেষ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা শেষে, স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর শেষে শিক্ষা সমাপনী অনুষ্ঠানে তথা সমাবর্তনে সবাই যে গাউন পরে থাকে তা আরবীয় পোশাক থাওবের উত্তরসূরী। থাওব একটি গোড়ালি-দৈর্ঘ্যের পোশাক, সাধারণত লম্বা হাতা থাকে। এটি সাধারণত আরব উপদ্বীপ, মধ্যপ্রাচ্য, উত্তর আফ্রিকা এবং অন্যান্য প্রতিবেশী আরব দেশ এবং পূর্ব ও পশ্চিম আফ্রিকার কিছু দেশে পরা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনের সময় যে টুপি পরেন তা চারকোণা ফ্ল্যাট টুপি। এমন আকৃতির কারণ কি জানেন? এমন আকৃতির কারণ মুসলিম স্পেনের কর্ডোভায় স্নাতক হওয়া মুসলিম ছাত্ররা আল কোরআনের প্রতি তাদের সত্যিকারের আনুগত্য ও ভালোবাসা প্রদর্শনের জন্য স্নাতক শেষে শিক্ষা সমাপনী অনুষ্ঠানে তাদের মাথার উপরে একটি কোরআনের কপি বহন করতেন।

টিকটক

  বর্তমানে উঠতি বয়সী ছেলে-মেয়েদের কাছে জনপ্রিয় একটি অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ টিকটক। অবশ্য এর আইওএস ভার্সনও এখন বাজারে আছে। এটি অত্যন্ত অল্প সময়ে পৃথিবীব্যাপী তার অবস্থান শক্ত করে নিয়েছে। বিশ্বের প্রায় ৭৫টি ভাষায় এই অ্যাপটি বানানো হয়েছে।ছোট ভিডিওর জন্য বিখ্যাত এই অ্যাপসের মাধ্যমে এরই মধ্যে নিজেকে সেলিব্রেটি বানিয়ে ফেলেছেন অনেকেই। বিভিন্ন গানের অংশ, সিনেমা ও নাটকের কৌতুক ডায়ালগগুলোর সঙ্গে অভিনয় করে অনেকেই বানিয়েছেন হাজার হাজার ফলোয়ার। কৌতুকের ছলে এই সর্বনাশা অ্যাপটি দ্রুত ধ্বংসের মুখে ঢেলে দিচ্ছে স্মার্টফোন ব্যবহারকারী মুসলমানদের। সর্বনাশা মহামারি থেকে বাঁচাতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশেও এই অ্যাপটি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। যদি এখনো অনেকে ভিপিএন ব্যবহার করে এসব অ্যাপ ব্যবহার করতে পারেন। মানুষ এ ধরনের অ্যাপগুলো ব্যবহার করে বিনোদনের জন্য। যা মানুষের অনেক সময় নষ্ট করে, ছাত্র-ছাত্রীদের পড়ালেখা নষ্ট করে। ঈমানদারদের আল্লাহর জিকির থেকে গাফেল রাখে। পবিত্র কোরআনে এ ধরনের সব কাজ থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ইরশাদ হয়েছে, ‘আর মানুষের মধ্য থেকে কেউ কেউ না জেনে আল্লাহর পথ থেকে মানুষকে বিভ্রান্ত করার জন্য বেহ...
ছবি
মার্কিন মেরিন সদস্য রিচার্ড ম্যাককিনি বর্তমানে অবসরপ্রাপ্ত।তিনি প্রায় ২৫ বছর মার্কিন সামরিক বাহিনীতে চাকরির পর অবসর নেন।অবসরের পর যদিও তিনি যুদ্ধক্ষেত্রে নেই, তবু তিনি মানসিকভাবে সবসময় নিজেকে যোদ্ধা মনে করতেন। ইসলাম ছিল তার মনোজগতের সেই যুদ্ধক্ষেত্রের প্রতিপক্ষ।এই ঘৃণা থেকেই তিনি ইন্ডিয়ানাতে অবস্থিত ইসলামিক সেন্টার উড়িয়ে দেয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন।পরিকল্পনামাফিক তিনি নিজের পরিচয় গোপন রেখে সেখানকার মুসলমানদের সঙ্গে ধর্মীয় কর্মকান্ডে অংশ নেন। একসময় ইসলাম নিয়ে তার ভুল ধারণা ভেঙ্গে যায় এবং ইসলামে ধর্মান্তরিত হন। সামরিক বাহিনীতে কাজ করার সময়, ম্যাককিনির কাছে হত্যা করা ছিল খুবই সহজ বিষয় এবং তার প্রতিটি হত্যার জন্য তিনি ছোট করে একটি বিন্দুর মত ট্যাটু তার বুকে আঁকতেন। তিনি জানান তিনি এমন অনেক পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়েছেন যা তিনি কারো সাথেই কখনো আলোচনা করেননি। তিনি বলেন, আমি ইসলামকে ঘৃণা করতাম না, কিন্তু বিভিন্ন বিষয় আমি প্রত্যক্ষ করি যার ফলে আমার অনুভূতি এমন হয়ে যায়। চাকরী শেষে আমেরিকায় ফিরে আসার পর তিনি তার নিজের সাথে মানিয়ে নেওয়ার সংগ্রামে লিপ্ত হন। তিনি মদ পান করা শুরু করেন এবং মুসলিমদের প্রত...

কেয়ামতের আগে যে মসজিদের মিনারের কাছে ঈসা (আ.) অবতরণ করবেন

ছবি
উমাইয়া মসজিদ বা দামেস্কের গ্রেট মসজিদ নামেও পরিচিত। এটি পবিত্র মসজিদগুলোর মধ্যে সবচেয়ে প্রাচীন। এটি সিরিয়া প্রধান মসজিদ। মুসলমানদের একটি অংশের মতে এটি ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের চতুর্থ পবিত্র স্থান। ইসলামের অনেক বড় বড় আলোকিত ব্যক্তি সেখানে শিক্ষা দিয়েছেন এবং ধর্ম প্রচার করেছেন। তন্মধ্যে সুলতান সালাহ উদ্দীন আল-আইয়ুবী, ইমাম আল-গাজালী, ইমাম শামস উদ্দীন ইবনে কুদামাহ, ইমাম তাকিউদ-দীন আস-সুবকি, ইমাম তাজ উদ্দীন আস-সুবকি, ইমাম 'আব্দুল বাকী আল-মাওয়াহিবি, ইমাম 'আব্দুল কাদির ইবনে বদরান, ইমাম মুহাম্মাদ সাঈদ রমজান আল-বুতি অন্যান্য। মসজিদটি একটি সুন্দর উঠোন সহ বড় এবং প্রশস্ত। সেখানে প্রার্থনা ও শিক্ষা দেওয়ার জায়গা রয়েছে। এটিতে সূক্ষ্ম মোজাইক পাথরের খোদাই এবং মার্বেল সজ্জা সহ উজ্জ্বল সজ্জা রয়েছে। এটি স্থাপত্যের একটি আধ্যাত্মিকভাবে উল্লেখযোগ্য অংশ। এটা বিশ্বাস করা হয় যে হযরত ঈসা (আ) মসজিদের দক্ষিণ-পূর্ব কোণে অবস্থিত গ্র্যান্ড উমাইয়া মসজিদের একটি মিনারের পাশে অবতরণ করবেন। তিনি ফজরের নামাজের সময় অবতরণ করবেন। দামেস্কের উমাইয়া জামে মসজিদে তাকবিরে উলা বলা হয়ে যাবে এমন সময় অবতরণ করবেন...

নামাজে পোশাক

আপনি যখন চাকরির ইন্টারভিউতে যান। আপনি বসের সামনে উপস্থাপনযোগ্য দেখতে সেরা এবং সবচেয়ে দামি পোশাক পরেন। যখন আপনি আপনার নামাজে আল্লাহর সাথে কথোপকথন করেন তখন আপনি জগিং প্যান্ট এবং পিছনে রোনালদো লেখা সহ একটি ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড শার্ট পরেন! আল্লাহ তায়ালা বলেন, "হে বনি আদম, প্রত্যেক নামাজের সময় সুন্দর পোশাক পরিধান করে নাও আর (হালাল বস্তু তৃপ্তির সঙ্গে) খাও ও পান করো; কিন্তু অপব্যয় কোরো না। নিশ্চয় আল্লাহ অপব্যয়ীদের পছন্দ করেন না।" (সুরা আরাফ আয়াত-৩১) টাইট-ফিট প্যান্ট ও শার্ট এবং শরীরের সঙ্গে লেগে থাকা কাপড় পড়ে নামাজ পড়া উচিত নয়। টাইট হওয়ার কারণে নামাজে একাগ্রতা ভঙ্গ হয়। তাছাড়া কাপড়ের উপর থেকে (বিশেষ করে পিছন থেকে) লজ্জাস্থানের উঁচু-নীচু অংশ ও আকার বোঝা যায়। অনেকে এভাবে নামাজ পড়াকে মাকরূহ বলেছেন। সুতরাং মুমিন মুসলমানের উচিত, উত্তম পোশাকে নামাজ পড়া। হাদিসের অনুসরণ ও অনুকরণে আমল করা। নামাজের পবিত্র ও পরিচ্ছন্ন পোশাকের বিষয়ে সতর্ক থাকা।

সৌদি জাতীয় দিবস

ছবি
২৩ সেপ্টেম্বর এই দিনটিকে সৌদিরা জাতীয় দিবস হিসেবে পালন করে। এদিন সারাদেশ জুড়ে লোককাহিনী নাচ, গান এবং ঐতিহ্যবাহী উৎসবের সাথে উদযাপন করা হয়। ২৩ সেপ্টেম্বর ১৯৩২ সালে বাদশাহ আবদুল আজিজ ইবনে সৌদের একটি রাজকীয় ডিক্রির মাধ্যমে নেজদ এবং হেজাজের দুটি রাজ্য একত্রিত হয় এবং সৌদ বংশের নামানুসারে সৌদি আরবের নামকরণ করা হয়। এভাবে আবদুল আজিজ সৌদি আরবের প্রথম বাদশাহ হন। হুসেইন বিন আলী যখন ১৯১৬ সালে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় অটোমান সাম্রাজ্যের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেছিলেন তখন তিনি হেজাজের হাশিমীয় রাজ্যের প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। ১৯২৫-২৬ সাল নাগাদ সৌদ বংশ হাশিমীয়দের পরাজিত করে হেজাজ দখল করে। অবশেষে হেজাজ এবং নেজদ রাজ্য ১৯২৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৩২ সালে এ দুটি রাজ্য একত্রিত হয়ে আধুনিক সৌদি আরব প্রতিষ্ঠিত হয়।

𝐥𝐨𝐯𝐞 𝐚𝐭 𝐟𝐢𝐫𝐬𝐭 𝐬𝐢𝐠𝐡𝐭 কি?

  𝐥𝐨𝐯𝐞 𝐚𝐭 𝐟𝐢𝐫𝐬𝐭 𝐬𝐢𝐠𝐡𝐭 কি?তাদের জিজ্ঞাসা করুন যারা মহানবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে দেখেছেন এবং বলেছেন: "আমরা তাঁর মতো (সুন্দর ও নিখুঁত) কাউকে দেখিনি, আগেও না পরেও! হজরত জাবির ইবনে সামুরা রাজিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বলেন, চন্দ্রালোকে উজ্জ্বল এক রজনীতে আমি নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে দেখেছি। আমি একবার হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের দিকে আরেকবার চাঁদের দিকে দেখছিলাম। তখন হুজুর পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের শরীরে লাল রেখা বিশিষ্ট পোশাক ছিল। আমার দৃষ্টিতে এবং বিশ্বাসে তখন হুজুর পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে চাঁদের চেয়েও বেশি সুন্দর দেখাচ্ছিল (তিরমিজি, মেশকাত)। রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সৌন্দর্য চাঁদসহ বিভিন্ন অপরূপ সৌন্দর্যের বস্তুর সঙ্গে তুলনা শুধু আমাদের বুঝে আসার জন্য। বস্তুত রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সৌন্দর্যের কোনো বস্তুর সঙ্গে তুলনা হয় না। হজরত ইউসুফ (আ.)-এর সম্পর্কে আলোচনা করতে গিয়ে রাসুল (সা.) বলেন, ‘আনা মালিহ ওয়া আঁঁখি আছবাহ’ অর্থাৎ আমি লাবণ্যময় আর আমার ভাই ইউসুফ (আ.) উজ্জ্বল। রাবী বি...