মরতেই হবে
জন ডেভিডসন রকফেলার সিনিয়র, যিনি জন ডি রকফেলার নামেই পরিচিত। তিনি ছিলেন আমেরিকার সবচেয়ে বড় তেল কোম্পানি স্ট্যান্ডার্ড ওয়েল কোম্পানির কর্ণধার।তিনি চাইতেন ১০০ বছর বাঁচবেন এবং এক লাখ ডলারের মালিক হবেন। প্রথম চাওয়াটি মাত্র ২ বছরের জন্য পূরণ হয়নি। কিন্তু দ্বিতীয় ইচ্ছাকে তিনি ছাড়িয়ে গিয়ে আমেরিকার ইতিহাসের প্রথম বিলিয়নিয়ার হয়ে যান। তার মোট সম্পদের পরিমাণ ছিল আজকের দিনের হিসেবে প্রায় ৪০০ বিলিয়ন ডলার! তার মতো প্রভাবশালী আর ধনী ব্যবসায়ী তার মৃত্যুর প্রায় ১০০ বছরেও আসেননি। দীর্ঘদিন বেঁচে থাকার জন্য অনেকরকম পরিকল্পনা করেছিলেন মাইকেল জ্যাকসন। কোনও কিছুই কাজে লাগেনি। মৃত্যু এসেছিল নিভৃতে, নিঃশব্দে। ছো মেরে তাঁকে নিয়ে গিয়েছিল অন্য জগতে।ব্যাড অ্যালবামটি হিট হওয়া পর টাকা আর খ্যাতি এই দুইয়ের কোনো অভাব হয়নি মাইকেলের। সুন্দর এই পৃথিবীর মায়া তারও ছিল। তাই অমর হওয়ার রাস্তা খুঁজছিলেন তিনি। এ জন্য বিশ্বের সর্বোচ্চ চিকিৎসাবিজ্ঞানের নাগাল পাওয়ার চেষ্টা করেন তিনি। নিজের ক্লোন তৈরি করে অমর হতে চেয়েছিলেন মাইকেল জ্যাকসন। মৃত্যুর আগে এর জন্য তিনি লাখ লাখ ডলার ব্যয়ও করেছেন। তার জীবনী লেখক মাইকেল সি লাকম্যান এক সাক্ষাৎকারে সাড়া জাগানো এ তথ্য দেন। জ্যাকসন তার ক্লোন নিয়ে গবেষণার জন্য ইউরোপীয় বিজ্ঞানীদের লাখ লাখ ডলার দিয়েছিলেন। তার ইচ্ছা ছিল এ ক্লোন থেকে একটি ক্ষুদে জ্যাকসন দলের সৃষ্টি হবে এবং তারাও একদিন তার মতো দুনিয়া মাতাবে। পানামাভিত্তিক একটি আয়ুষ্কাল কেন্দ্রে মাইকেল জ্যাকসন একটি ‘গোপন শুক্রানু প্রকল্প’ গড়ে তুলেছিলেন বলে দাবি করা হয়। আর এই ইচ্ছার পেছনে কাজ করেছিল ক্লোনিংয়ে সাফল্য। বিজ্ঞানীরা ভেড়ার ক্লোন থেকে সফলভাবে ‘ডলি’র জম্ন দেওয়ার পর নিজের ক্লোনিং নিয়ে আশাবাদী হয়ে ওঠেন জ্যাকসন। মাইকেল বিশ্বাস করতেন এক সময় তার ক্লোনিং সম্ভব হবে এবং এর পেছনে তিনি যে টাকা-পয়সা ব্যয় করছেন তাও সার্থক হবে। শুধু ক্লোনিং নয়। কমপক্ষে ১৫০ বছর বেঁচে থাকার জন্য তৈরি করেছিলেন অক্সিজেন চেম্বার। সেখানেই ঘুমানোর অভ্যাস গড়ে তুলতে চেয়েছেন। সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু পাওয়ার জন্য তিনি এ পন্থা বেছে নিয়েছিলেন। একবার তিনি দাবি করেছিলেন, অক্সিজেন চেম্বারে ঘুমানোর জন্য অন্তত ১৫০ বছর বাঁচবেন তিনি। ২০০৯ সালের ২৫শে জুন লস এঞ্জেলসে নিজের বাড়িতেই হার্ট অ্যাটাক হয়ে মারা যান কিং অফ পপ মাইকেল জ্যাকসন। বয়স তখন ৫০। । সারা বিশ্বে ছড়িয়ে থাকা মাইকেল জ্যাকসনের অজস্র গুণমুগ্ধদের মন ভেঙে গিয়েছিল সেদিন।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন