ওকাজ মেলা



#মো. আবু রায়হান

জাহেলি যুগের একটি ঐতিহ্যবাহী মেলার নাম ছিল ওকাজ মেলা।ওকাজ মেলা যদিও প্রাক ইসলামি যুগে নৈতিকতা ও সামাজিক কুসংস্কারের চরম সীমায় পৌঁছে গিয়েছিল। তথাপিও সে সময় ওকাজ মেলায় বসত কবি-সাহিত্যিকদের আসর। সে সাহিত্য পরিষদে প্রকাশ পেতো অনেক প্রশংসনীয় চারিত্রিক গুণ।সে সময় সাহিত্য পাঠ, কবিতা আবৃত্তি, বাগ্মিতা এবং কাব্যপ্রেম ছিল অনত্যম। মূলত এ কবিতা আবৃত্তি ও বাগ্মিতাকে কেন্দ্র করেই মক্কার অদূরে অবস্থিত ওকাজ নামক স্থানে এ মেলার সূচনা হয়েছিল। পৃথিবীর ইতিহাসে তা ওকাজ মেলা নামে পরিচিত হয়েছিল। উকাজ মেলার এই সাহিত্যসভায় কবিতা-প্রতিযোগিতায় মূল বিচারকের ভূমিকায় থাকতেন কবি নাবিগা জুবিয়ানি। কথিত আছে, উকাজ মেলার কাব্যপ্রতিযোগিতার শ্রেষ্ঠ কবিতাগুলোকে দামি মিসরীয় কাপড়ে সোনালি অক্ষরে লিখে বর্তমান সময়ের দেয়ালিকার মতো পবিত্র কাবা ঘরে দেয়ালে ঝুলিয়ে রাখা হতো।এই কবিতাগুলোকে তাই মুয়াল্লাকাত বা ঝুলন্ত কবিতা বলা হতো। এই কবিতাগুলো কবি হাম্মাদ আর রাবিয়া আব্বাসি যুগ এ সংকলন করেন।এ মুয়াল্লাকাত বা ঝুলন্ত কবিতার মধ্যে -ইমরুল কায়েস ,ত্বরফা বিন আল আবদ ,যুহায়ের বিন আবি সুলমা ,লাবিদ বিন রাবিয়া, আমর বিন কুলসুম ,হারিস বি হিল্লিজা ,আনতারা বিন সাদ্দাদ ।রসুল (সা.) দাওয়াতের উদ্দেশ্যে এ মেলার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ঘুরতেন। প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত রসুল (সা.) ওকাজ মেলায় এসে সাধারণ মানুষের সঙ্গে মিশে কোরআনের আহ্বান তুলে ধরতেন। এ মেলায় ইসলাম গ্রহণ করেছেন এমন সাহাবির সংখ্যাও কম নয়। এ মুহূর্তে হজরত আমর ইবনে আবাসা আস-সুলামির কথা মনে পড়ছে।


মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

যে গাছ ইহুদিদের আশ্রয় দেবে অর্থাৎ ইহুদিদের বন্ধু গাছ

রক্তপাতহীন মক্কা বিজয়ের দিন আজ

খন্দক যুদ্ধ কারণ ও ফলাফল