পোস্টগুলি

মাশরাফির কি দিন শেষ নয়?

মাশরাফিকে খুব বেশি ভালোবাসি। তাঁর একজন ভক্তও বটে। যেদিন রাজনীতিতে তাঁর অভিষেক হলো সেদিন খুব বেশি ব্যথিত হয়েছিলাম। বাংলাদেশের তারুণ্যের অহঙ্কার তিনি। তার বিনয় নম্রতা নিরহংকার চরিত্রে সবাই মোটামুটি মুগ্ধ। বাংলাদেশের কলুষিত রাজনীতিতে তিনি হতে পারতেন বিকল্প একটি প্লাটফর্ম। যেখানে তারুণ্যের ভাগ্যাকাশের কালো ঘনঘটার পরিবর্তনে নেতৃত্ব দিতে পারতেন।কিন্তু তিনি দূষিত পানির স্রোতে গা ভাসিয়ে দিলেন। বর্তমানের নোংরা রাজনীতির দুর্গন্ধ কিছুটা তাকেও স্পর্শ করবে এবং ব্যর্থতা তাঁর স্কন্ধেও বর্তাবে। কিছুদিন আগে ডাক্তারদের চিকিৎসায় অবহেলা এবং  তৎপরবর্তীতে তাঁর তৎপরতায় তাকে তীর্যক বিতর্কের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করা হয়েছে। বিশ্বকাপে সাত ম্যাচে এক উইকেট পেয়ে তিনি এখনো দলকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। অন্য কোনো দেশ হলো বিকল্প কেউ  নেতৃত্ব আসতো  কিংবা নিজেই মান সম্মান বজায় রেখে দল থেকে পদত্যাগ করতেন। আমাদের দেশে অবশ্য এসব বিরল ও অকল্পনীয় ব্যাপার। কেউ পদ ছাড়তে চায় না। হাজারো অকাম বদকাম দুর্নীতি কিংবা অদক্ষতার পরিচয় দিলেও। পাবলিককেই আন্দোলন করে টেনে হেঁচড়ে নামাতে হয়। যাকগে আর একটি ম্যাচ বাকি তারপর বাংলাদেশের বিশ্বকাপ মিশনের

ভারতে মুসলিম নির্যাতন সেকাল একাল

আমাদের নিকট প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারত। মুসলিমদের দীর্ঘদিনের শাসন ও সংস্কৃতি ছড়িয়ে আছে গোটা ভারত জুড়ে। প্রায় সাতশ বছর দিল্লী কেন্দ্রিক মুসলিম শাসনে ভারতীয় উপমহাদেশ ছিল মুসলমানদের অধীনে। যার প্রমাণ ভারতে বর্তমান  মুসলিমদের বিভিন্ন স্থাপনা,  ঐতিহাসিক নির্দশনসমূহ, মুসলিম নাম, সংস্কৃতি  ও বিশাল মুসলিম জনগোষ্ঠীর বসবাস। ভারতে বসবাসের সময় মুসলিমরা ভারতীয় উপমহাদেশকে নিজেদের আবাসভূমি হিসেবেই গণ্য করতন। ঠিক যেন আল্লামা ইকবালের সেই কবিতার বহিঃপ্রকাশ - আরব আমার, ভারত আমার, চীনও আমার-নহে তো পর- মুসলিম আমি,- জাহান জুড়িয়া ছড়ানো রয়েছে আমার ঘর।’ ভারতে মুসলিমরা আজ সংখ্যালঘু ও ব্যাপক হারে নিগ্রহ নির্যাতনের শিকার।সেই ভারতের নির্যাতিত  মুসলিমদের নিয়ে আজকের এ লেখার প্রয়াস। পৃথিবীর জনসংখ্যা প্রায় ৭৫৫ কোটি যার মধ্যে মুসলমানদের সংখ্যা প্রায় ১৫৭ কোটি, অর্থাৎ বর্তমান বিশ্বে মোট জনসংখ্যার প্রায় ২৩ শতাংশ মুসলমান ।আর মুসলমানদের মধ্যে প্রায় ২০ শতাংশ এশিয়া মহাদেশে বসবাস করে। ইন্দোনেশিয়ায় প্রায় ২০ কোটি ৩০ লাখ মুসলমান বাস করে যা বিশ্বে মোট মুসলমান জনসংখ্যার প্রায় ১৩%। পাকিস্তানে ১৭ কোটি ৪০ লাখ, ভারতে ১৭ কো

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্মদিন ও কিছু কথা

প্রাণের বিশ্ববিদ্যালয়ের আজ জন্মদিন। শতায়ুর কাছাকাছি দাঁড়িয়ে থাকা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়  আমাদের  আবেগ ও ভালোবাসার আরেক নাম। আজকের দিনে প্রিয় বিশ্ববিদ্যালয় তিনটি অনুষদ,  ১২টি বিভাগ, বিভিন্ন বিভাগে  ৮৭৭ জন শিক্ষার্থী এবং ৬০ জন শিক্ষক নিয়ে একটি আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে যাত্রা শুরু করে। যে বিশ্ববিদ্যালয় এনে দিয়েছিল মায়ের ভাষা। যার অঙ্গনে প্রথম পতপত করে উড়েছিল  আমাদের অহঙ্কার লাল সবুজের পতাকা। যে বিশ্ববিদ্যালয় দিয়েছিল এক খন্ড ভূখন্ড আলাদা মানচিত্র।আজ জন্মদিনে মনে পড়ছে ঢাবির সেই অনন্য অবদান ও ব্যর্থতার কিছু ইতিহাস। একজন ক্ষুদ্র মানুষ হিসেবে এই বিশাল বট বৃক্ষের অবয়বে ছড়িয়ে পড়া মহীরূহের সমালোচনা করার যোগ্যতা ও সাধ্য আমার নেই। তারপরেও এ বিদ্যা কুঞ্জের একজন প্রাক্তন শিক্ষার্থী হিসেবে  বিশ্ববিদ্যালয়ের গৌরবোজ্জ্বল অর্জনে যেমন  পুলকিত হই তেমনি কখনো কখনো ঢাবির নীরবতা ও এর পরিবারের সদস্যদের অনভিপ্রেত কার্যকলাপ ও বচনে চরমভাবে ব্যথিত হই। বিগত প্রায় এক শতাব্দী ঢাবির অর্জন কম নয় কিন্তু তারপরেও  শতায়ুর কাছাকাছি দাঁড়িয়ে থাকা প্রতিষ্ঠানের অর্জন আমার কাছে অপ্রতুল ও অপর্যাপ্ত  মনে হয়েছে। সূচনালগ্